দীপক শর্মা দীপু; কক্সভিউ :
কক্সবাজারের জাতীয় পাটির প্রার্থীরা খুবই ভালো। বিশেষ করে কক্সবাজার সদর – রামু আসনের প্রার্থীরা। তাদের মনোয়ন দিলে পরে মিলে যায়। তারা এমন ভালো যে এমপি পদের জন্য তাদের কোন লোভ নেই। এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে অন্যকে সুযোগ করে দেন। এই জন্য জাতীয় পাটির প্রার্থীদের ব্যাপক সুনাম আছে আওয়ামী লীগে কাছে। কারন জাতীয় পার্টি সব সময় নিজের প্রার্থীতার আসন ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সমর্থন দেন।
এই ইতিহাস গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার সদর-রামু আসনে জাতীয় পাটি মুফিজুর রহমানকে মনোয়ন দেয় আর আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয় সাইমুম সরওয়ার কমলকে। মাত্র এই দুইজন প্রার্থী ছিল। একজন ছেড়ে দিলেই অন্যজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাবেন। এই অবস্থায় মুফিজুর রহমান তখন চাইলে প্রার্থীতা ছেড়ে না দিয়ে জিততে পারতেন। কিন্তু এই অবস্থায় জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী মুফিজুর রহমান মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন। এই মহৎ ব্যক্তি মুফিজুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে যান। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতিয়ে দেন।
এবারের নির্বাচনেও একই অবস্থা। জাতীয় পাটির কেন্দ্রিয় নেতা জিয়া উদ্দিন বাবলুকে কক্সবাজার সদর – রামু আসনে নির্বাচনের জন্য মনোয়নয় দেয়া হয়। এতে সবাই আশা করেছিল এবার হয়তো জাতীয় পাটির এই কেন্দ্রিয় নেতা প্রার্থীতা ছেড়ে দেবেন না।কারন তিনি নির্বাচন করলে তখন আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিতনা। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা ঠিকই আগাম ধারনা করেছেন ‘যে লাউ সে কদু’ হবে। ঠিকই জাতীয় পার্টির এই কেন্দ্রীয় নেতাও মহত্বের পরিচয় দিয়ে আওয়ামী লীগকে প্রার্থীতা ছেড়ে দিয়ে চলে গেলেন।
এখন আবার নতুন করে সেই গতবারের প্রার্থীতা ছেড়ে দেয়া জাতীয় পার্টির মফিজ মনোয়ন নিয়েছেন। তবে এখন যেহেতু তিনি জাতীয় পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাই তিনি সিরিয়াস হলে এবং যথার্থ লবিং করলে সদর – রামু আসনের এই আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিতে পারেন আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির এমন সুযোগ থাকলেও মফিজুর রহমান এই সুযোগ নেবেন কিনা এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ গতবারের ন্যায় এবারো তিনি প্রার্থীতা ছেড়ে দিতে পারেন আওয়ামী লীগের সাইমুম সরওয়ার কমলকে। ছেড়ে দেয়ার মধ্যে ‘কিন্তু’ থাকলেও জাতীয় পার্টি বার বার সুযোগটি হারাচ্ছেন। এবার মফিজুর রহমান নির্বাচন করবেন কিনা নাকি প্রার্থীতা ছেড়ে দেবেন এই দৃশ্য দেখার জন্য অপেক্ষা করছে কক্সবাজার সদর – আসনের ভোটাররা।
You must be logged in to post a comment.