গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ:
কক্সবাজারের টেকনাফসহ সারা দেশে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার পেঁয়াজের চাহিদা ও দাম স্বাভাবিক রাখতে মিয়ানমার থেকে বেশি বেশি পেঁয়াজ আমদানি করতে টেকনাফ স্থল বন্দরে ব্যাবসায়িদেরকে দিক নির্দেশনা দিয়ে আসেছে এর ফলে গত ২/৩ সপ্তাহে ধরে স্থল বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বৃব্ধি পেয়েছে।
টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, পেঁয়াজ আমদানি দ্বীর্ঘ আট মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের আগস্ট মাসের প্রথমে ১২৭ মেঃ টন পিঁয়াজ আমদানী হয়েছিল এছাড়া গত চলতি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৫৬৯ মেট্রিক টন পেয়াঁজ আমদানী করা হয়। দেশে হঠাৎ কওে দাম বেড়ে য্ওায়ায় মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যবসায়ি ভাইদেরকে উৎসাহিত করা হয় এর ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রবিবার মিয়ানমার থেকে আরো ৫৫৫ মেট্রিক টন পেয়াঁজ আমদানী করা হয়েছে। পেয়াঁজ আমদানীকারকরা হচ্ছে, আবুল হাশেম, আব্দু জব্বার, মীর কামরুজ্জামান, সায়েদুর রহমান নিপু মোঃ জিয়াবুল, শওকত আলম।
তিনি আরও জানান, দেশে পেয়াঁজের শঙ্কট মোকাবেলায় সরকার মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য জোর দেওয়া হয়েছে। এরই লক্ষ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উৎসাহ করা হচ্ছে। যার ফলে ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন।
পেঁয়াজ আমদানিকারক মীর কামরুজ্জামান ও সায়েদুর রহমান নিপু জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়। ফলে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক এবং কোরবানির ঈদে চাহিদা পূরনে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এদিকে পেয়াঁজ আমদানী করা হলেও থেমন সুবিধা হচেছনা। তবে পেয়াঁজ আমদানীতে সরকারী রাজস্ব না থাকলেও ফ্রিজিং কন্টিনার না থাকায় নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে ক্রয়-বিক্রয়ে থেমন সুফল দেখা মিলছেনা। এর পরও চাহিদা পূরনে কয়েক দিনের মধ্যে হাজার হাজার মেঃ টন পেঁয়াজ আমদানির করা হবে বলে জানিয়েছেন।
টেকনাফ স্থল বন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মোঃ আবু নূর খালেদ জানান, মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত ট্রলার থেকে খালাস করে ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে স্থলবন্দরে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
You must log in to post a comment.