অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ:
মরিচের আরেক নাম লঙ্কা। এই লঙ্কা নিয়ে এখন চলছে লঙ্কাকাণ্ড। লঙ্কা বা মরিচ আকস্মিকই হিট-নায়িকাদের মতো আলোচিত হয়ে উঠেছে। কারণ এর দাম। দশ-বিশ টাকা কেজির মরিচ এখন ডাবল সেঞ্চুরি পার হয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। কোথায় গিয়ে যে থামবে-সেটা ঠাহর করতে পারছেনা সাধারণ ক্রেতারা।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে, কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টি আর বন্যার কারণে মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে। ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আসা বন্ধ রয়েছে। ফলে দামের এই ঊর্ধ্বগতি।
অন্যদিকে সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, আমাদের দেশে জীবনের দাম বাড়ে না, সৃজনশীলতা বা স্বপ্নের দাম বাড়ে না, এমনকি মানুষের দামও বাড়ে না, বাড়ে শুধু বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এই দাম শুধুই বাড়ে। কারণে বাড়ে, অকারণে বাড়ে। বাড়তেই থাকে।
তারা আরও বলছেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দাম কমলেও আমাদের দেশে দাম কমে না। এমনকি দেশে বাম্পার ফলন হলেও খাদ্যশস্যের দাম কমে না।
তবে মরিচের দাম বাড়ানোর পেছনে ‘অন্য উদ্দেশ্য’ আছে বলে মনে করছেন সাধারণ ক্রেতারা। বন্যা, ক্ষেত নষ্ট হওয়া, ভারত থেকে না আসা-এগুলো ভাঁওতা মাত্র। বুঝতে হবে যে, আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে যতটুকু তেজ বা ঝাঁঝ, তা মোটামুটি পেঁয়াজ এবং কাঁচামরিচের গুণ। এখন পেঁয়াজ-মরিচের সীমাহীন দামের কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই দুটি জিনিস খাওয়া বাদ দিতে বাধ্য হচ্ছে।
এ অবস্থায় মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণসহ বাজারের লাগাম টানার আহবান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষেরা।
You must be logged in to post a comment.