এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
কলা একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাধু আমিষ জাতীয় ফল। গরিবের ফল হিসাবে পরিচিত কলা সারা বছর পাওয়া যায়। পাশ্ববর্তী পাহাড়ি জনপদ লামা, আলীকদম ও ঈদগড় বাইশারীর পাহাড়ি কলার সরবরাহ ঈদগাঁওতে তুলনামূলক ভাবে বেশি। অভিযোগ উঠেছে, ঈদগাঁওতে কলা প্রাকৃতিক উপায়ে না পাঁকিয়ে কৃত্রিম উপায়ে ক্যামিকেল মিশ্রিত করে সহজে পাঁকানো হচ্ছে। ফলে কলার আসল পুষ্টিগুণ নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি সহজ সরল লোকজন এ কলা ক্রয় করে এবং খেয়ে মারাত্মক ভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। তাছাড়া নিত্যদিন নানা জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে লোকজন। এতেও স্থানীয় প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকায়। এর ফলে কিছুতেই দমানো যাচ্ছেনা কলা বিক্রেতাদের ক্যামিকেল মিশ্রিত কলা বিক্রি।
বাজারের বড় বড় কলার আড়ত থেকে শুরু করে ছোট বড় সব দোকানে কলায় মিশানো হচ্ছে কার্বাইড সহ নানা ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ যা মানুষকে ক্রমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর এলাকার ঈদগাঁও বাজার, ইসলামপুর বাজার, নতুন অফিস বাজার, নাপিতখালী বটতলা, কাঞ্চনমালা ফকিরা বাজার, বাশঘাটা, পোকখালীর মুসলিম বাজার, চৌফলদন্ডী বাজার, মিয়ার বাজার, লরাবাক কানাইয়ার দোকান, পালাকাটার শুক্কুরের দোকান, কালিরছড়া বাজার, ঈদগাহ কলেজ গেইট এলাকাসহ বাস ষ্টেশনে ক্যামিকেল মিশ্রিত কলা বিক্রি হচ্ছে দেদারচে। দেখা গেছে, স্থানীয় জাতের কলার চাইতে সাগর কলা এখন সারা বাজারে বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। দামও একটু বেশি। তার সাথে পার্বত্য জেলা বান্দরবান থেকে আসা কলা ও বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে বিশেষজ্ঞের মতে, ক্যামিকেল মিশ্রিত কলা খেলে নানা রোগে হতে পারে। শুধু তাই নই এসব ক্ষতিকারক বিষাক্ত কলা খেয়ে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত মানুষ। স্থানীয়রা তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান জরুরী বলে মনে করছেন। কিছু কিছু দোকানে দেখা যায়, কলার উপর ক্যামিকেল জাতীয় কিছু ব্যবহার করা হয়েছে। তার উপর শুষ্ক সাদা রংয়ের ফোটা রয়েছে। এতে করে কলার নামে কিনে খাচ্ছে সাধারণ মানুষ বিষ। অন্যদিকে সুধী মহলের মতে, এসব ভেজাল ও জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।
You must be logged in to post a comment.