কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া, ঈদগাঁও, মহেশখালীর মত গুরুত্বপূর্ণ ৪টি সাব ষ্টেশনে পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ দেয়া হয় ১৯৮৫সালে স্থাপিত ঝরাজীর্ণ অধিকতর কর্মক্ষমতাহীন লাইন দিয়ে। পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজীতে এমনিতেই নাকাল গ্রাহকরা সেখানে সোর্স লাইনেই সরবরাহ ক্ষমতাহীন সব মিলিয়ে বিদ্যুতের সরবরাহ ভান্ডার থাকার পরও বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় চকরিয়া পেকুয়া মহেশখালীর মানুষ। চকরিয়ায় পিডিবিসহ অন্যান্য বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান সেবা দিয়ে থাকলেও পেকুয়ায় একমাত্র নির্ভরশীল পল্লী বিদ্যুতে। চকরিয়া জোনাল অফিসের আওতাধীন চকরিয়া মহেশখালী ও পেকুয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ মনিটরিং করা হলেও ঈদগাঁওসহ ৪টি সাব ষ্টেশনের ৬২হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ কক্সবাজার থেকে ৩ কেবির সোর্সলাইন ঈদগাঁও থেকে। চকরিয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, সোর্স লাইনটি ১৯৮৫সালে স্থাপিত হওয়ায় বর্তমানে খুবই বিপদজনক ও দূর্বল এছাড়া একই সোর্স লাইন দিয়ে চকরিয়া পিডিবিও ৫মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ সন্ধ্যাকালীন বা প্রয়োজনে সংগ্রহ করলে পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ দিতে গিয়ে আরো সম্যার সম্মুখীন হয়ে যায়।
তথ্য সূত্রে ১৯৮৫সালে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ পিডিবির মালীকানাধীন ঈদগাঁওর ওই সোর্স লাইন দিয়ে চকরিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে ছিল। পরবর্তীতে ওই লাইন দিয়ে ঈদগাঁও, মহেশখালী ও পেকুয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সরবাহ দিয়ে যাচ্ছে। চকরিয়া জোনাল অফিসের এজিএম.কম মাদব নাগ বলেন, সোর্স লাইনটি মাত্র ১৫মেঘাওয়াট সরবরাহ ক্ষমতা রাখে এর বেশি হলে লোড ফেইলড হয়ে সংযোগই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তিনি আরো বলেন, যতদিন পৃথক সুইচ লাইন স্থাপিত হয়নি ততদিন সমস্যা থেকেই যাবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে কক্সবাজার লিংক রোডের পাশে আলাদা সুইচ লাইন স্থাপনের জন্যে জায়গা খোঁজা হচ্ছে জায়গা বন্দোবস্ত হলেই কাজ শুরু হবে।
এদিকে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং এর কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাইন সমস্যার কারণে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হয়। পেকুয়া আলাদা সাব ষ্টেশন হওয়ার পর যা বরাদ্দ তা দিয়ে সন্তুষ জনক সেবা দেয়া যেত সমস্যা হলো পুরো লাইন গুলো ঝরাজীর্ণ। দিন দিন গ্রাহক বাড়ছে সেবা বাড়ছেনা লাইন গুলো মেরামতও হচ্ছেনা এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব বিষয়ে উপরে চাহিদা দেয়া হয়েছে ক্রমান্বয়ে কাজ অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে সাধারণ গ্রাহকের অভিমত এত টাকা খরচ করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েও আমরা সেবা পাচ্ছিনা। নতুন লাইনের নিয়ম অনুযায়ী খরচ পরিশোধ করে সংযোগ নেয়ার পর দেখা যায় পুরোতন বা পরিত্যক্ত লইন মেরামত করে নতুন বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ মানে ভেলকিবাজী এ আসা এ যাওয়া সেখানে প্রতিনিয়ত গ্রাহক বাড়লেও সেবার মান বাড়ছেনা। আবার অনেকের অভিযোগ গ্রাহকরা যে পরিমাণ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে থাকে বিল পরিশোধের সময় দেখা যায় ব্যবহারের চেয়ে বিল বেশি দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে লাগামহীন বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে পেকুয়ায় ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংসের পথে। বিদ্যুৎ নির্ভর সেবা পেকুয়ায় এখন অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে।
You must be logged in to post a comment.