এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কালবৈশাখীর কোন ঝড় তুফান নয়, বর্ষাকালের প্রচন্ড বৃষ্টিপাতও নয়, কিছু অংশ বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণের কারণে প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে ছয় গ্রামের শত শত পরিবার পরিজনকে। কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন পোকখালীর গোমাতলীতে প্রায়শ জোয়ার ভাটায় হাবুডুবু খাচ্ছে অসংখ্য মানুষজন।
জানা যায়, ইউনিয়নের রাজঘাট, উত্তর গোমাতলী, ঘাইট্যাখালী, চরপাড়া, আজিম পাড়া ও কোনা পাড়ার বিভিন্ন বাড়িঘরে নিয়মিত জোয়ার ভাটায় প্লাবিত হয়ে সুখের ঘুম হারাম করে দিয়েছে এলাকাবাসীর। পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া নিয়েও নিদারুণ কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে, মাসের ১৫ দিনে জো-মৌসুমে জোয়ারের পানিতে বন্দি হয়ে পড়ে এসব মানুষজন। এমনকি এসব এলাকার শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গণে যেতে পারছেনা কোন ভাবেই। হাটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে বর্তমানে ছয় গ্রামবাসী। আবার দেড় হাজার একরের ও বেশী লবণ মাঠে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয় চাষীরা। বর্তমানে এখানকার চাষীরা সর্বহারা হয়ে মাথায় হাত দিয়েছে। অনেকে সবকিছু হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। তবে এসব এলাকার লোকজন বেড়িবাঁধের উপর অস্থায়ী বাসা বেঁধে কোন রকম দিনাতিপাত করছে। যেসব এলাকার লবণ নিয়ে সারা দেশের চাহিদা পূরণ করে সেসব এলাকায় প্রায়শ জোয়ার ভাটার পানিতে বিধ্বস্থ করেছে এসব লবণ উৎপাদিত মাঠকে।
লবণের সাথে সংশ্লিষ্টরা নিরুপায় হয়ে নিরবে নির্বিত্তে বেকার সময় পার করছে। লবণ চাষী দেলোয়ার জানান- লবণ মাঠে ব্যাপক ক্ষতি কখন পুষিয়ে উঠতে পারবো এ চিন্তায় মগ্ন রয়েছি। গোমাতলীর বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি জোয়ারের পানির সাথে পাল্লা দিয়ে টিকিয়ে রয়েছে।
এদিকে পোকখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোজাহের আহমদ গোমাতলীর বিভিন্ন গ্রামে বর্তমানে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে কয়েকজন সচেতন লোকজনের মতে, গোমাতলীর সামান্য অংশ ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ দ্রুত সময়ে নির্মাণ করে বৃহত্তর গোমাতলীবাসীকে জোয়ার ভাটা থেকে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান।
You must be logged in to post a comment.