মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া:
পৃথিবী থেকে দুরাচার দুষ্টুদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই মহাবতার ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এই দিনে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এই বিশ্বাসকে ধারণ করে চকরিয়ার সনাতনধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ আনন্দ উচ্ছ্বাসের মাধ্যমে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী মহোৎসব শুরু করেছে। চকরিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ ও নিত্যানন্দ গীতা সংঘের যৌথ উদ্যোগে শ্রী কৃষ্ণের শুভ আর্বিভাব তিথি আরম্ভ করা হয়েছে মনকাড়া বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে।
চকরিয়া সার্ব্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে ৪দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন রবিবার সকাল ১১ টায় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চকরিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহম্মদ হোসেন ভূঁইয়া।
শোভাযাত্রায় অংশ নেন চকরিয়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দির কমিটির সভাপতি ডাক্তার তেজেন্দ্র লাল দে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্ঠান ঐক্য পরিষদ চকরিয়া শাখার সভাপতি রতন বরণ দাশ, চিরিংগা যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি ধন রঞ্জন দাশ, বাংলাদেশ পূঁজা উদযাপন পরিষদ চকরিয়া শাখার আহবায়ক তপন কান্তি দাশ, সদস্য সচিব বাবলা দেবনাথ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ.এস.এম আলমগীর হোছাইন, চকরিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক মুকুল কান্তি দাশ, নিত্যানন্দ গীতা সংঘের সভাপতি শ্রীদুল রঞ্জন দাশ, চকরিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ন কান্তি দাশ, যুবকল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, জুয়েলারী সমিতির উপদেষ্টা বিকাশ ধর (মহাজন), নাথপাড়া মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুনীল বিহারী নাথ, চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দির মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিলন কান্তি দাশ, অর্থ সম্পাদক সমীর দাশ, চকরিয়া জুয়েলারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোপাল কান্তি দাশ, চকরিয়া জুয়েলারী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলাল সুশীল, চকরিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তা সুভাষ দাশ, নন্দরাম দাশ, নেপাল দে, মাষ্টার টিটু সুশীল, মাষ্টার সন্তোষ দাশ, মাষ্টার জিসু সুলীল, বিকাশ দাশ, রিপন বসাক, ধীমান বণিক সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত সনাতন ধর্মালম্বীরা ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন শোভাযাত্রায় অংশ নেন ।
শোভাযাত্রায় ব্যানার, ফেষ্টুন, পোস্টার হাতে নিয়ে বাদ্যযন্ত্র সহকারে নেচে গেয়ে হাজারো নারী-পূরুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
চকরিয়া সার্ব্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ ও পুরাতন বিমান বন্দর হয়ে আবারো হরি মন্দিরে ফিরে শেষ হয়।
এদিন দুপুরে ধর্মীয় সংগীত প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার শুভ অধিবাস, মহতী ধর্মসভা, লীলা কীর্তন ও সোমবার মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে এবং মঙ্গলবার পূর্ণাহুতির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে। অনুষ্ঠানে আগত ভক্তদের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
এছাড়া রবিবার কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের সৌজন্যে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা প্রদান করা হবে।
You must be logged in to post a comment.