মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
একদিকে যানজট-দুর্ঘটনা, অন্যদিকে বিকল্প সড়ক-পরিবহণ না থাকায় তিন চাকার গাড়ি নিয়ে দ্বিমুখি সংকটে পড়েছে প্রশাসন ও স্থানীয় যাত্রী ছাড়াও শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৩৭ কিলোমিটার অংশে তিন চাকার গাড়ি নিয়ে এসমস্যা। প্রশাসন ওই গাড়ি বন্ধে নানামুখি উদ্যোগ নিলেও সফল হচ্ছেনা জনগণকে যাতায়তের বিকল্প ব্যবস্থা করে দিতে না পারায়।
সরজমিন ঘুরে বিভিন্ন পেশার লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, মহাসড়কের জাইল্যারঢালা থেকে নয়া অফিস পর্যন্ত চকরিয়া অংশে ৩৭ দশমিক ০৫ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এসড়ক কেন্দ্রীক যাতায়াতের মাধ্যমে ৬টি কলেজ, ৩৬টির মধ্যে ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮টি মাদ্রাসাসহ বেশ ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। বিদ্যালয়ে নিজস্ব পরিবহণ না থ্কাার পাশাপাশি যাতায়তের তিন চাকার গাড়ি ছাড়া বিকল্প পরিবহণ নেই।
ফলে ত্রিহুইলার হিসেবে গণ্য তিন চাকার গাড়ি বন্ধ হলে শতশত শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাতায়াত করতে পারেনা। পাশাপাশি নিত্যপণ্যের বাজার পৌরশহরে। এ শহরে সওদা করতে আসা-যাওয়া করতে হলে নিকটস্থ ইউনিয়নগুলোর বাসিন্দাদের তিন চাকার গাড়ির বিকল্প নেই। ওইসব গাড়ি চলাচলের জন্য মহাসড়ক ছাড়া বিকল্প কোন সড়কও নেই। এই অবস্থায় সরকারি নির্দেশনা সত্বেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন তিন চাকার গাড়ি বন্ধে প্রথমে নমনীয় ভাব দেখালেও পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কড়া নিদের্শে তিন চাকার গাড়ি একেবারে বন্ধ করতে চেষ্টা করছে। এ পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহাসড়কে কয়েকদিন ধরে মাইকিংও করা হচ্ছে।
ডুলাহাজারা কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী রাজীব দাশ জানান, চিরিংগা থেকে প্রতিদিন সকালে কলেজে যেতে হয়। দূরপাল্লার গাড়িগুলো আমাদের গাড়িতে তুলেনা। মাইক্রোবাসেও ভাড়া বেশি খুঁজে। কম টাকায় এতদিন যাতায়াত করেছি তিন চাকার গাড়ি করে। এসব গাড়ি বন্ধ করলে টাকা ও পরিবহণের অভাবে আমার মতো অসংখ্য দরিদ্র পরিবারের সন্তানকে পড়া-লেখা বন্ধ করে দিতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় লোকজন ছাড়াও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা মাথায় ছিল বিধায় আমরা নমনীয় ছিলাম। কিন্তু চাকুরী বাঁচাতে তিন চাকার গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হচ্ছে।
শিক্ষার্থীসহ জনদুর্ভোগের ব্যাপারে জানতে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলেও তারা কেউই বক্তব্য দেননি সরকারি সিদ্ধান্তের বিপরীতে যাওয়ার ভয়ে।
You must be logged in to post a comment.