পাহাড়ি ঢল ও সামুদ্রিক জোয়ারে চরম দূর্ভোগে রয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ার মানুষ। দু’উপজেলার হাজার হাজার মানুষ বহুতল স্কুল ভবন,সাইক্লোন শেল্টার ও পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন জনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এরপরও মানবেতর অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে সড়ক ও সেতুর উপর গৃহপালিত পশু-পাখি ছাড়াও দু’উপজেলার অন্তত ২০ হাজার শিশু নারী-পূরুষ আশ্রয় নিয়েছে। তারা একদিকে খাবার ও পানীয় জলের সংকট অপরদিকে নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত অবস্থায় রয়েছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পশ্চিম বড় ভেওলা, সাহারবিল, বদরখালী, কোণাখালীর অসংখ্যা নারী-পুরুষ চকরিয়া-মহেশখালী সংযোগ সড়ক ও কে.বি জালাল উদ্দিন সড়কে ও ওই সড়কের সেতুর উপর আশ্রয় নিয়েছে। একইভাবে মহাসড়কের জিদ্দাবাজার ও কলেজ পয়েন্টে কাকারা ও লক্ষ্যারচরের, বানিয়াছড়া ও বরইতলী রাস্তার মাথায় বরইতলী ইউনিয়নের, চকরিয়া-কুতুবদিয়া সংযোগ সড়কের সেতু ও সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পেকুয়ার শতশত নারী-পুরুষ খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
বৃষ্টিপাত সকাল থেকে কমার সাথে সাথে মাতামুহুরী নদীতে ঢলের পানি কমে আসলেও ছড়াখালগুলো ভরাট হয়ে থাকায় জলাবদ্ধতার কারণে পাহাড় ঘেষা অন্তত অর্ধশত গ্রামের মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।
অন্যদিকে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানির পাশাপাশি পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট সাগরের অতি জোয়ারের পানি ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রবেশ করায় চকরিয়া ও পেকুয়ার উপকূলীয় ১২টি ইউনিয়নের ৩ লক্ষাধিক মানুষ বানে জিন্মি রয়েছে চারদিন ধরে।
দু’উপজেলার বানবাসি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের পাশাপাশি প্রাণে বেঁচে থাকতে পানীয় ও খাবারের দাবী জানিয়েছেন সরকার ও স্বাবলম্বী ব্যক্তিদের কাছে।
চকরিয়া-পেকুয়ার বন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ দাবী করে এই দু’উপজেলাকে দুর্যোগ এলাকা ঘোষণা করে জরুরী সাহায্য বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানিয়েছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
You must log in to post a comment.