কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় গভীর রাতে বিরামহীন পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে আসছে একটি চক্র। সীমান্ত এ জনপথের পরিবেশ বান্ধাব-ঐতিহ্যবাহী পাহাড়গুলো পাহাড়-খেকোরা কেটে সমতল করে প্লট তৈরী করছে। পরে সুযোগ বুঝে চড়া দামে একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি অন্যদিকে টেকনাফের ঐতিহ্য হারানো এমনটাই মনে করছেন পরিবেশবাদীরা। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নীরব ভূমিকা লক্ষ্যে করা যাচ্ছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের দাবী টেকনাফ পৌরসভার ১ নম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনৈক ফজলের নেতৃত্বে নাইট্যংপাড়ায় বিরতিহীন পাহাড় কাটা চলছে। তা নিয়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগিরা। তার ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে প্রতিনিয়ত নিরীহ লোকজনের পাহাড় থেকে শুরু করে জায়গা-জমি জোর পূর্বক জবর-দখল করে আসছে।
সূত্রে জানা গেছে, ফজল আহমদ দীর্ঘদিন যাবৎ বনবিভাগের পাহাড় কেটে জমি দখল করে বিক্রি করে আসছে। তার এ দখলবাজিতে চিহ্নিত কিছু ক্ষমতাধর ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে ব্যবহার হয়েও আসছে। তার অবৈধ টাকার পাহাড়ে বলি হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগিরা।
স্থানীয়রা আরো জানান, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ফজল পাহাড় কেটে বিলীন করে সরকারি জমি বিক্রি করে দিচ্ছে।
সূত্র আরো জানান, ৫ মাস আগে ভূমিদস্যূ ফজল একই এলাকার জনৈক মালয়েশিয়ানি নামক এক মহিলার বসতভিটা ক্ষমতাধর বাহিনীদের ব্যবহার করে জোর-পূর্বক দখলে নিয়েছে। ক্ষমতাধর যুবকরা শক্তিশালী হওয়াতে প্রশাসনের কাছে গিয়েও নিরুপায় হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগিরা।
এনিয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাহাড় কাটার বিষয়ে কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও তিনি জানান। এব্যাপারে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।
You must be logged in to post a comment.