এম.বেদারুল আলম, কক্সভিউ:
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জমতে শুরু করেছে জেলার কোরবানীর পশুর হাট। মায়ানমার এবং ভারত থেকে প্রচুর গরু বাংলাদেশে প্রবেশের কারণে এবার গরুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকবে এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কোরবানীর বাজার উপলক্ষে বাজারসমূহে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজারাদারদের নিজস্ব অর্থায়নে বাজার সমূহ সাজানো হয়েছে আপন মহিমায়। অজ্ঞান পার্টি, ছিনতাই ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের ব্যবস্থা।
জেলার অন্যতম বৃহৎ কোরবানীর পশুর বরাবরই সদরের খরুলিয়া বাজার। এ বাজারটি এ বছর ১ কোটি ২ লাখ টাকায় ইজারা হয়েছে। বাজারটিতে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ইজারাদার শরীফ উদ্দিন জানান, জেলার অন্যতম বড় বাজার খরুলিয়ায় ২০ সেপ্টেম্বর থেকে কোরবানের আগের রাত পর্যন্ত বিকিকিনি চলবে। রাতে ক্রেতাদের সুবিধার্থে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ, আনসার এবং স্থানীয় ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠে থাকবে।
ইজারাদার আরো জানান খরুলিয়া বাজারে ইজারা কম হওয়ায় প্রতিবছর ক্রেতারা এ বাজারে ভীড় জমায়। আজ রবিবার ৫ হাজার গরু ছাগল মহিষ বাজারে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বাজারের কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী নবী আলম, নুরুল হক, ইউসুফ আলী, নূরুল আজিম, মোঃ আলম, মনু জানান বাজারে প্রচুর গরু আছে, দামও সহনীয় পর্যায়ে, ক্রেতারা পছন্দমত নির্বিঘ্নে গরু বিক্রি করতে পারবে।
অপরদিকে ঈদগাঁও, কলঘর বাজার পি.এম.খালী নুর মোহাম্মদ চৌধুরী বাজার, চেরাংঘর বাজার, জাফর মিয়ার কাঠির মাথা বাজারেও প্রচুর গরু বিকিকিনি শুরু হয়েছে। ঈদুল আযহার মাত্র ৫দিন বাকী, তাই বাজার সমূহে পুরোদমে হাঁকডাক শুরু হয়নি। ২/১ দিনের মধ্যে বাজার সমূহ টইটুম্বর হবে বলে আশা করছেন ইজারাদাররা।
এদিকে গরু বাজার সমূহে নিরাপত্তা জোরদারে প্রশাসনের আরো পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী।
পাশাপাশি বাজারে পশু সমূহের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম নামানোর প্রতি তাগিদ দিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
You must log in to post a comment.