এম.বেদারুল আলম :
কক্সবাজার জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজে বরাদ্দ দেয়া ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। কোন কোন বিদ্যালয়ে কাজের গুণগত মান ভাল হলেও অনেক বিদ্যালয়ে কাজ হয়েছে বিল ভাউচারে। মাঠে কাজের কোন দৃশ্য না থাকলেও শতভাগ কাজ হওয়ার সমস্ত আয়োজন দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দ তচরুপ করেছে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যৌথভাবে। তিনটি উন্নয়ন কমিটি অর্থাৎ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, সামাজিক মূল্যায়ন কমিটি এবং অভিভাবক কমিটির সমন্বয়ে বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজে প্রাপ্ত বরাদ্দ ব্যয় করার বিধি থাকলেও দুই তৃতীয়াংশ বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র এসএসসি’র সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে চেকের টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অনেক সরকারি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে দ্বন্দ্বও হয়েছে। প্রাপ্ত টাকা ব্যবহারে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ শিক্ষা অফিস বরাবরেও পৌঁছেছে।
সদরের দক্ষিণ খুরুশকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কারের প্রাপ্ত ৩০ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিলে সামান্য কাজ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগও দিয়েছে একজন অভিভাবক।
তবে সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি প্রতিটি বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বা সংস্কার কাজে দেয়া ৩০ হাজার টাকার (বিদ্যালয় প্রতি) কাজ বেশির ভাগ বিদ্যালয়ে যথাযত হয়েছে। ৩টি কমিটির মধ্যে ২টি কমিটিকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র এসএসসি’র সভাপতি ও সদস্য সচিব দিয়ে কাজ করলে স্বচ্ছতা ও যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
জানা যায়, জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজে বিদ্যালয় প্রতি ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয় সরকার। জেলায় মোট ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কাজ শুরু হয় জুন মাসে। সদর উপজেলার ১১টি বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সদরের ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হল সেন্ট্রাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম চৌফলদন্ডী সরকারি বিদ্যালয় ডি-ওয়ার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধর্মেরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলোচিত দক্ষিণ খুরুশকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দক্ষিণ খরুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
You must be logged in to post a comment.