দীপক শর্মা দীপু, কক্সভিউ:
গত দু’য়েক বছরের তুলনায় এবার প্রতিমা তৈরির খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। সে সাথে তালমিলিয়ে সাজসজ্জা, লাইটিংসহ অন্যান্য খরচও বেড়েছে। ফলে এবার পূঁজার আয়োজকদের সবকিছু ম্যানেজ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। খরচ বাড়লেও পূঁজার প্রস্তুতির কমতি নেই। এবার দু’টি প্রতিমা পূঁজা মন্ডপের সংখ্যা বেড়ে জেলায় ২৬৬ মন্ডপে পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে।
আগামি ১৮ অক্টোবর মহাপঞ্চমী দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গোত্সব শুরু হয়ে ২৩ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে। ৫ দিন ব্যাপী এ উত্সবের আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে গত ১৫ দিন আগে থেকে। প্রস্তুতির প্রথম আকর্ষণ প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।
প্রতিবারের ন্যায় এবারো জেলা শহরে ব্যয়বহুল প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। দুই থেকে চার লাখ টাকা ব্যয়ে প্রতিমা তৈরি হচ্ছে এই প্রথম।
এ ব্যাপারে ঘোনারপাড়া দুর্গাপূঁজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত পাল বিশু বলেন, আগে প্রতিমা তৈরির জন্য মৃত্শিল্পীরা খরচ নিতো দেড়লাখ টাকা। গত বছর সর্বোচ্চ দু’লাখ টাকা। এবার মৃত্শিল্পীরা সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ টাকা নিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম থেকে আগত স্বনামধন্য মৃত্শিল্পী তাপস পাল বলেন, প্রতিমা তৈরির সরঞ্জাম ও কারিগরদের পারিশ্রমিক বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় বেড়ে গেছে।
সাজসজ্জার থিম ম্যানেজমেন্ট বিশ্বজিত আইচ বলেন, কক্সবাজারে প্রথম ঘোনারপাড়া পূজায় এ্যাকুরিয়াম সিস্টেমে দুর্গাপূজার ডেকোরেশন করা হয়েছে।
ইন্দ্র সেন দুর্গা বাড়ি পূঁজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মান্না সেন পাল বলেন, শান্তি সম্প্রীতির নতুন থিমস্ এবার পূঁজার উপস্থাপন করা হবে। সেই আদলে প্রতিমা তৈরি হচ্ছে। বঙ্গপাহাড় পূঁজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ধর অভি জানান, এবার নতুন আঙ্গিকে নান্দনিকভাবে উপস্থাপনের জন্য পূজার প্রস্তুতি চলছে। শারদীয় দুর্গাপূজা উত্সবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষে জেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদ ২ অক্টোবর প্রস্তুতি সভা করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশ ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা।
You must log in to post a comment.