সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / জেলায় এমপিও’র আশায় যুগ পার ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

জেলায় এমপিও’র আশায় যুগ পার ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

MPO -1এম. বেদারুল আলম; কক্সভিউ :

দেশব্যাপী চলছে বেসরকারি নন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষকদের আন্দোলন। জেএসসি জেডিসি পরীক্ষার পর এ আন্দোলন আরো বেগবান করার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। ১৭ নভেম্বর ঢাকায় এমপিওভুক্তির দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সমাবেশ করেছে এমপিও বঞ্চিত শিক্ষকরা। দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে এমপিও বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারিদের মাঝে। জেলায় এমপিও’র আশায় বছরের পর বছর গতর খেটেছে ৩ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারি। এক যুগ আগে সরকারি স্বীকৃতি পাওয়ার পর ও এমপিও হয়নি জেলার ২৯টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে চাকুরী স্থায়ীকরণের আশায় প্রহর গুণছেন উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী।

এমপিও’র আশায় বছরের পর বছর উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে জীবন পার করে এখন সরকারি চাকুরিতে ও আবেদন করতে পারছেনা অসহায় এ সব শিক্ষকগণ। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন যাবৎ এমপিও ভুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসলে ও ফলাফল শূন্য।

এমপিও ভুক্তির জন্য জাতীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে গেল বছরের ১ অক্টোবর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সহ কঠিন কর্মসূচী পালন করলে ও সরকার অদ্যাবধি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।

জেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ৮ উপজেলায় নন এমনপিও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে ১০টি এবং দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে ১৯টি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক বেতন এবং সাহায্য সহযোগিতায় চলছে প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবার। এমপিও’র (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) আশায় অনেকে বারো থেকে পনের বছর যাবৎ স্বল্প বেতনে শিক্ষকতা করে আসলেও পরিবারে চলছে অভাব অনটনসহ সিমাহীন সমস্যা। গেল বছর এমপিও’র অগ্রাধিকার তালিকা থেকে শতভাগ ফলাফল অর্জনকারী ১২টি স্কুল এবং মাদ্রাসা বাদ পড়ায় এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা। অনেক প্রতিষ্ঠানকে দলীয় হস্তক্ষেপে এমপিও প্রদান করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জেলার উক্ত ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।

এদিকে দীর্ঘদিন যাবৎ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অথচ এমপিও বঞ্চিত মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপজেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যান হল (বিদ্যালয়) সদর উপজেলায় ৪টি, উখিয়া উপজেলায় ১টি, টেকনাফ উপজেলায় ১টি, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১টি, মহেশখালীতে ৩টি বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া স্বীকৃতির অপেক্ষায় রয়েছে জেলায় আরো ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

জেলায় বর্তমানে ১২৪টি এমপিও ভ‚ক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।এমপিও বঞ্চিত শহরের আলির জাহাল ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মৌলানা রফিক বিন ছিদ্দিক,পিএমখালী আর্দশ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মৌ: নুর আহমেদ জানান, এমপিও পেতে সরকার যে সকল নীতিমালা ও সুযোগ সুবিধা চেয়েছে সব পূরন করেও দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা এমপিও পাচ্ছিনা। প্রতিবছর মাদ্রাসার দাখিলের ফলাফল সন্তোষজনক হলেও আমাদের মত আরো অনেক প্রতিষ্ঠান এমপিও না হওয়ায় শিক্ষকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।তিনি এমপিও প্রদানে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অপরদিকে জেলায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে ১৯টি। এদের মধ্যে ৭টি মাদ্রাসার দাখিলে পরপর ৩ বছর শতভাগ উত্তীর্ণের ফলাফল রয়েছে। তবুও তাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি। এমপিও’র অপেক্ষা বেড়েছে। জেলায় এমপিও’র অপেক্ষায় থাকা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত উপজেলা ভিত্তিক দাখিল মাদ্রাসার সংখ্যা হল সদর উপজেলায় ৮টি, রামুতে ১টি চকরিয়ায় ৩টি, উখিয়ায় ২টি, টেকনাফে ৪টি, মহেশখালীতে ১টি সহ মোট ১৯টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে।

এছাড়া জেলায় এমপিওভ‚ক্ত দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে ৯১টি। স্বীকৃতিবিহীন মাদ্রাসা রয়েছে ২৩টি। জেলায় সর্বমোট ১৩৩টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে।

অবকাঠামোগত সুবিধা মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সকল শর্ত পূরণের পরও দীর্ঘ ১যুগ যাবৎ অপেক্ষায় থাকা জেলার উক্ত ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও’র জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এমপিও বঞ্চিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/