জেলার ৩ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের শেষ হতে ৩ দিন বাকি। ২০০০ সালের ১ জানুয়ারী বা তার আগে যাদের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরে পূর্ণ হবে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০০ সালের জন্ম গ্রহণকারীর সাড়ে ৭ শতাংশ পুরুষ মহিলার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মেজবাহ উদ্দিন জানান, সদর, উখিয়া, মহেশখালীতে ৪৬১ জন তথ্য সংগ্রহকারি নিরলস ভাবে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। প্রতিদিন মনিটরিং এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসারদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে কাজ চলার কারণে যথাসময়ে সরকার নির্ধারিত টার্গেট পূরণ করা সম্ভব হবে বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তা। তিনি মোট ভোটারের সাড়ে ৭ শতাংশই নিবন্ধন করা হবে। সেই অনুযায়ী সদর উপজেলার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫শ ৫৯ জন ভোটারের সাড়ে ৭ শতাংশ অনুযায়ী নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছে ১৭৫১৭ জন। ৪ আগস্ট পর্যন্ত সদরে মাত্র ৬৪২৮ জন নিবন্ধিত হয়েছে।
উখিয়ায় মোট ভোটার ১ লাখ ১১ হাজার ৬শ ৪১ জন। সাড়ে ৭ শতাংশ হারে সুযোগ পাচ্ছে ৮৩৭৩ জন। ৪ আগস্ট পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৭১৫৯ জনের।
মহেশখালীতে মোট ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫শ ৫২ জন। সাড়ে ৭ শতাংশ হারে সুযোগ পাচ্ছে ১৪৬৬৭ জন। ৪ আগস্ট পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৮৮৩ জন।
জেলায় ৩ উপজেলায় ৪০ হাজার ৫শ ৫৭ জনের তথ্য সংগ্রহের টার্গেট থাকলেও ১১দিনে মাত্র ১৮ হাজার ৫শ ৮০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ৫ দিনে ২১ হাজার ৯শ ৭৭ জনের তথ্য সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের।
মাত্র ৫ দিনে টার্গেট পূরণ হওয়া নিয়ে শংকিত নয় জেলা নির্বাচন অফিস। তিনি হালনাগাদ কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সহযোগীদের কোন অনিয়ম গাফেলতি সহ্য করা হবেনা বলে জানান।
এদিকে ফরম সংকট বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান ৩টি উপজেলার জন্য সরকারের টার্গেট সাড়ে ৭ শতাংশের চেয়ে বেশি ফরম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কোন ফরম সংকটে পড়বেনা বৈধরা। ৩ উপজেলায় মোট ভোটারের সাড়ে ৮ শতাংশ ফরম বিতরণ করা হয়েছে। মাত্র ৩ দিনে প্রায় ২২ হাজার জনের তথ্য সংগ্রহ সম্পন্ন আদৌ সম্ভব হয় কিনা তা বুঝা যাবে ৯ আগস্ট।
You must be logged in to post a comment.