এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
টানা বৃষ্টিপাতে হঠাৎ বন্যা, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ও পোকখালীতে অসংখ্য পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। রবিবার রাত থেকে ভারী বর্ষণের ফলে ঈদগাঁও খালে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় বন্যার সৃষ্টি।
জানা যায়, জালালাবাদ ইউনিয়নের রাবার ড্যাম ব্রীজের পশ্চিমে ২নং ওয়ার্ডে খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে ডুবছে দুই ওয়ার্ডে বেশ কিছু গ্রাম। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, ফসলী ক্ষেতসহ পুকুর। ফলে দুর্ভোগে দিন পার করছে মানুষ।
অন্যদিকে পোকখালী ইউনিয়নে কবি নুরুল হুদা সড়কে নির্মাণাধীন ব্রিজের বিকল্প ব্রীজ হিসেবে তৈরি করা বাঁশের ব্রীজটি ভেঙে যায়। ফলে মানুষের যাতায়াতের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ও পোকখালীতে নিম্নাঞ্চল হওয়ায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয় কিছু গ্রাম।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার রাবার ড্যাম থেকে পোকখালী ইউনিয়ন পর্যন্ত ইসলামাবাদ-জালালাবাদ ইউনিয়নে দুপাশ বেড়িবাঁধ টেকসই না হওয়ায় প্রতি বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নেমে কোন না কোন স্থান থেকে ভেঙে যায়। এতে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন ঈদগাঁও খালের দুই পাশের বেড়িবাঁধ টেকসই নির্মাণের দাবী জানান স্থানীয়রা।
মেম্বার নুরুল আলমসহ স্থানীয়রা জানান, পূর্ব লরাবাগ থেকে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের ফলে বন্যার পানি বাড়িতে প্রবেশ করে। ফলে রান্না সহ বন্ধ হয়ে যায়, বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছেনা। বর্তমানে পানিবন্দী অবস্থায় লোক জন, যানবাহন চলাচলও বন্ধ ছিল।
জালালাবাদে পানিবন্দি লোকজনের মাঝে বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের পক্ষে খিচুড়ি বিতরণ করতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদেরকে।
ছাত্রনেতা সোরাইম জানালেন, পোকখালীতে নদী ভাঙ্গনের ফলে তিন ওয়ার্ড়ের বসতবাড়ীতে বন্যার পানি প্রবেশসহ প্রায় বাড়ি ডুবে গেছে। টানা দুইবার নদী ভাঙ্গনে ৩নং ওয়ার্ডবাসী বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানিবন্দি শতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার দিলেন ছাত্রলীগ নেতা ইরফানুল করিম।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর মতে, পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে জালালাবাদে যে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে তা সাথে সাথেই জিও ব্যাগ দিয়ে বন্ধ করা হয়। বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন রোধে যথেষ্ট জিও ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে৷
You must be logged in to post a comment.