সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ ইয়াবা কারবারী মংগ্রীসহ ২জন নিহত : ৫ পুলিশ আহত : অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ ইয়াবা কারবারী মংগ্রীসহ ২জন নিহত : ৫ পুলিশ আহত : অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার

ফাইল ফটো

গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নুর মোহাম্মদ (৪০) ও নুরুল আমিন (৩৫) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, তারা দু’জনই মাদক পাচার ও অবৈধ অর্থ পাচারে জড়িত অপরাধী।

২২ মার্চ শুক্রবার রাত ২টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন রাজারছড়া পাহাড়ি এলাকায় পুলিশ ও মাদক কারবারীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, নিহত নুর মোহাম্মদ টেকনাফ সদর নাজিরপাড়া এলাকার আজহার মিয়ার ছেলে। অপরজন হচ্ছে টেকনাফ পৌরসভা দক্ষিণ জালিয়াপাড়া এলাকার আব্দুর শুক্কুরের পুত্র নুরুল আমিন।

তথ্য সুত্রে জানা যায়, নাজিরপাড়ার নিহত নুর মোহাম্মদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারী।

তিনি আরো বলেন, ২১ মার্চ বুধবার পুলিশের হাতে আটক হয় নুর মোহাম্মদ ও নুরুল আমিন। এরপর ২২ মার্চ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের দুইজনকে নিয়ে অভিযানে যায় টেকনাফ থানার একটি পুলিশের দল। এসময় টেকনাফ সদর ইউনিয়ন রাজারছড়া পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছালে আটককৃত আসামিদের ছিনিয়ে নিতে একদল ইয়াবা কারবারি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এই সময় পুলিশ সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ইয়াবা কারবারিরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। এতে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে আটককৃত দুই আসামী গুলিবিদ্ধ হয়।

তিনি আরও জানান, এসময় ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৮টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ২০টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছে, এএসআই সনজিৎ দত্ত, পুলিশ কনেস্টবল আল আমিন, সাবের হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও এরশাদুল।

থানা সুত্রে জানা যায়, নিহত নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সর্বমোট ১০টি মামলা রয়েছে। আর নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, মানি লন্ডারিং এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ ৩টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

এদিকে টেকনাফ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ থানা পুলিশ সদস্যরা ২২ মার্চ রাত দেড়টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ২ যুবককে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। এরপর কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার তাদের দুই জনকেই মৃত ঘোষণা করে।

মৃতদেহ ২টি ময়না তদন্ত রিপোর্ট তৈরী করার জন্য মর্গে প্রেরন করে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকা বেশ কয়েকজন অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় দিনেদুপুরে কৃষকের বাড়িতে হামলা লুটপাট

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; বান্দরবান :ভূমি বিরোধের জের ধরে লামায় মোঃ ইব্রাহিম (৫৫) নামে কৃষকের ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/