মোহাম্মদ শাহাবউদ্দীন, মহেশখালী:
কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সোনাদিয়া। সোনাদিয়ার পশ্চিম ও পূর্ব পাড়া নিয়ে পূর্ব পুরুষরা বসবাস করে আসলেও বর্তমানে মাঝের পাড়া, বদরখালী পাড়াসহ আরো বেশ কটি পাড়া সৃষ্ট হয়েছে।
বেশ কটি পাড়া ঘুরে দেখা যায়, ৬/৭ বাড়ি মিলে টিউবওয়েল থাকলে কোন বাড়িতেই স্যানিটেশন টয়লেট নেই। এমনকি পশ্চিম পাড়ায় আমার অনুসন্ধানকালে ৪/৫ বাড়ীতে টয়লেট রয়েছে তা স্যানিটেশন টয়লেট বা স্বাস্থ্য সম্মত না। কোন রকম সম্মান রক্ষা করার মত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় সরকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান বনবিভাগের সদ্য নির্মিত (৬ মাস) ভবনে স্যানেটারী টয়লেট থাকলে নতুন ভবনের পূর্বে তারাও সোনাদিয়া জনগণের সাথে তাল মিলিয়ে খোলা আকাশের নিচে প্রাকৃতিক কাজ সম্পন্ন করত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১০/১২টি বাড়ীর মালিকের সাথে টয়লেট বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, কিছুদিনের মধ্য টয়লেট বসানো হবে। এতদিন কেন বসানো হয়নি কৌশলে জানতে চাইলে জানান, বালিয়াড়ি ও ঝোপের মধ্য প্রাকৃতিক কাজ করতে আরামদায়ক ইংগিত করে তেমন প্রয়োজন বোধও মনে করেনি বলে জানান। পশ্চিম পাড়া এলাকার শামসুল আলম জানান, অনেকের টয়লেট থাকলেও বাড়ীর বাইরে ঝোপে অব্যবস্থা অনেকে। যদি বাইরের কোন মেহমান আসে তা হলে তাদেরও একই একই অবস্থা। নতুবা যে বাড়ীতে কোন রকম তৈরী টয়লেট রয়েছে ওই বাড়িতে গিয়ে প্রাকৃতিক কাজ সারতে হচ্ছে বলে জানান।
এ দৃশ্য পরো সোনাদিয়ায়। প্রায় ৪শ’ বাড়ীর লোকজনের বসবাস হলেও যারা অন্তত উপজেলার সাথে তাল মিলিয়ে অথবা কোন ছেলে মেয়ে সোনাদিয়ার বাইরে লেখাপড়া করে তাদের বাড়িতে হাতে গোনা ২০/৩০টি পরিবারের টয়লেট রয়েছে। তাও আবার কোন রকম। সোনাদিয়ার ইউপি সদস্য আবদুল গফুর বর্তমানে পর্যায়ক্রমে টয়লেট বসানোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান।
You must be logged in to post a comment.