কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি এবং জালিয়াতির মাধ্যমে সমবায়িদের প্রশিক্ষণ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তবে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবী করেছেন।
চকরিয়ার বিভিন্ন সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে ১৭ জুন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি অভিযোগ দেয়া হয়।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সমীর কুমার সেন ও মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচী প্রকল্পের হিসাব রক্ষক মো: নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগে দাবী করা হয় আর্থসামাজিক জীবন ব্যবস্থায় কৃষি ও স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্য প্রবাহের অবাধ ব্যবহার সম্পর্কে সমবায়িদের দক্ষভাবে গড়ে তুলার জন্য সরকার প্রাথমিক সমবায় সমিতির কর্মকান্ড গতিশীল করতে ম্যানেজার/ সভাপতি বা প্রতিনিধিগণের প্রশক্ষিণ কার্যক্রম চালু করে। সাপ্তাহিক ও মাসিক প্রশিক্ষণ চালু করলেও চকরিয়ায় প্রশক্ষিণ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর জালিয়াতি ভূঁয়া বিল বাউচার, ভূঁয়া মাস্টার রুল সৃজন করে প্রশিক্ষণের টাকা আত্মসাত করা হচ্ছে। এছাড়াও অপ্রধান খাদ্য শস্য নিয়ে প্রশিক্ষণ এবং আবর্তক তহবিলের ঋণের টাকা থেকে কমিশন নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোড কক্সবাজারের উপ-পরিচালক এবিএসএম রফিকুল ইসলাম ২০ আগষ্ট চকরিয়ায় ইউসিসিএ লিমিটেডের কার্যালয়ে সরজমিন গিয়ে তদন্ত ও বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য শুনেন। এই তদন্ত রিপোর্ট ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।
অপরদিকে অভিযোগের ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সমীর কুমার সেনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
You must log in to post a comment.