কক্সবাজারের রামু’র রশিদনগর ধলিরছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মসহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার্য্য সম্পদ আত্মসাত্ করার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কিছুদিন পূর্বে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ওয়াসিম উদ্দিন ছিদ্দিকী’র নানা অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ের উপর হস্তক্ষেপ কামনা করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার এর নিকট লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। এরই ভিত্তিতে রামু উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ দিলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শিবলু দাশ ও সেলিম গীরের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি এসব অভিযোগের উপর তদন্ত পরিচালানা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভুত ভাবে টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মের প্রমাণ পায়। শিক্ষা অফিস কর্তৃক তদন্ত পূর্বক এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বর্তমানে তিনি নিজেকে রক্ষার জন্য নানা ভাবে তদবীর কাজে নেমে পড়েছে। এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ হলে তিনি স্থানীয় কিছু লোকজনকে ম্যানেজ করে তার পক্ষে বিবৃতি প্রদান করান বলে অভিযোগ উঠেছে। যে বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গৃহীত টাকাসহ অন্যান্য সব স্কুল ফান্ডের টাকার হিসাব সহকারী শিক্ষক শওকত আমীরসহ আর একজন সহকারী শিক্ষিকার কাছে গচ্ছিত রাখার কথা উল্লেখ করা হয়।
এদিকে এব্যাপারে সহকারী শিক্ষক শওকত আমীর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার হাতে স্কুল ফান্ডের কোন টাকার হিসাব নেই। শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক, যে টাকা তিনি ও আরেকজন সহকারী শিক্ষিকা মিলে ভাগ করেছেন। যারা আমার কাছে টাকা আছে বলে বিবৃতিটি ছাপিয়েছেন, আমার মনে হয় তাদের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে অজ্ঞতা রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলনের ব্যাপারে ঐ বিদ্যালয়ের সরকারী শিক্ষিকা গোলে জান্নাতের সাথে হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক উত্তোলনকৃত টাকা আমার কাছে জমা রয়েছে। এই টাকা আমরা প্রধান শিক্ষকের সিদ্ধান্তক্রমে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করি, এছাড়া টাকা যে আমার কাছে জমা আছে তার হিসাবও আমি দিতে পারব।
You must be logged in to post a comment.