কক্সবাজার শহরের মধ্যম নুনিয়ারছড়া এলাকায় বাঁকখালী নদী দখল করে তেলের পাম্প বসনোর মহোত্সব চলছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী বাঁকখালী বিভিন্ন অংশ তেলের পাম্প মালিকদের কাছে বিক্রি করছে।
গত কয়েক বছরে বাঁকখালী নদীর ফিশারীঘাট থেকে মধ্যম নুনিয়াছড়া পর্যন্ত আধা কিলোমিটার জায়গার মধ্যে ঘেঁষাঘেঁষি করে গড়ে উঠেছে অর্ধ ডজন তেলের পাম্প। নদীর পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় জোয়ারের সময় ঢেউয়ের তোড়ে নদীর পাড় দিন দিন ভেঙ্গে যাচ্ছে। নতুন করে বাঁকখালী নদী দখল করে আরো একটি তেলের স্থাপনের পায়তারা চালানোর কারণে এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নদী দখল করে এভাবেই তেলের পাশ বসানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে শীঘ্রই বাঁকখালীর নদী অস্থিত্ব সংকটে পড়বে। পাশাপাশি নদীর পাড়ের স্থাপনা বিলীন হয়ে নদীতে পতিত হবে।
সূত্রে জানা গেছে, শহরের ফিশারী ঘাট থেকে মধ্যম নুনিয়ারছড়া পর্যন্ত বাঁকখালী নদীর আধা কিলোমিটার পাড় জুড়ে নদীর পানিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে স্থাপিত হয়েছে অর্ধ ডজনের বেশি তেলের পাম্প। পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তেলের পাম্প স্থাপনের কারণে ঢেউয়ের তোড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘর বাড়ি। স¤প্রতি আরো একটি তেলের পাম্প বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষগুলো ক্ষোভে ফুসে উঠছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, সম্প্রতি একটি তেলের পাম্প স্থাপনের জন্য মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকায় বাঁকখালী নদীর কিছু অংশ দখলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এলাকাবাসীর দৃষ্টি এড়াতে একই এলাকার একটি সিন্ডিকেট গঠিত হয়। পরে বাঁকখালী নদীর ওই অংশটি ২ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয়ের একটি নাটক করা হয়। সেখানে তেলের পাম্প স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা হস্তক্ষেপ করেন। পরে ওই আওয়ামীলীগ নেতাকেও মোটা অংকে ম্যানেজ করে নেন সিন্ডিকেটটি। তবে তেলের পাইপ লাইন স্থাপন করতে গিয়ে এলাকাবাসীর বাধার সম্মুখিন হওয়ায় আপাতত কাজ বন্ধ রেখেছে সিন্ডিকেটটি।
You must be logged in to post a comment.