সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / কক্সবাজার শহরে পাহাড় ধসে মা-মেয়ের মৃত্যু

কক্সবাজার শহরে পাহাড় ধসে মা-মেয়ের মৃত্যু

Coxsbazar Pahar Dhoshনিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের পেছনে কবরস্থান পাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছে।
এ সময় দুই জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়ছে। আরো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
রোববার রাত ২টার দিকে কক্সবাজার পৌর এলাকার দক্ষিণ বাহারছড়ার কবরস্থান পাড়াস্থ রাডার স্টেশন এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- স্থানীয় খায়রুল আমিনের স্ত্রী জুনু বেগম (২৮) ও তার শিশু কন্যা নীহা মনি (৭)।
এছাড়া জেলা বাস্তুহারালীগ নেতা শাহ আলম (৪৫), তার স্ত্রী রোকেয়া আক্তার (৩৩) ও শিশু কন্যা রিনা আক্তার নিখোঁজ রয়েছে।
জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জহিরুল হকের মেয়ে শারমিন আকতার (২০), খাইরুল আমিনের ছেলে মোহাম্মদ আয়াত (১২), জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ শেফায়েত (২০) ও জাকের হোসেনের ছেলে নুর নবী (২৮)।
উদ্ধার হওয়া শাহ আলম জানান, রাত ২টার দিকে বিকট শব্দে পাহাড় ধসে তাদের বসতবাড়ির ওপর পড়ে। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে।
এদিকে, পাহাড় ধসের খবর পেয়ে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে উদ্ধার কাজে যোগ দেয় সেনা বাহিনীর একটি দল। দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তারা নুরুন নবী ও শাহ আলমকে জীবিত উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল মজিদ জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে চারটি বাড়ি মাটি চাপা পড়েছে। এ পর্যন্ত দুই জনকে জীবিত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে উদ্ধার কাজ চালাতে যোগ দিয়েছে পেকুয়া ও চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধারকাজে দমকল বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্য সহযোগিতা করছেন।”
কক্সবাজারস্থ ১৬ ইসিবির উপ-অধিনায়ক মেজর মাহবুবুর রহমান খান জানান, বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত একটি শিশু ও নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার পর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ, সদর থানার ওসি মতিউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ বলেন, “উদ্ধার তত্পরতায় পুলিশ সহযোগিতা করছে।”
কক্সবাজার, টেকনাফ ও চট্টগ্রামে যেকোনো সময় অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে ভূমিধস হতে পারে আশংকা রয়েছে বলে সতর্ক করে রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার তত্পরতা শুরু করে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে নিদের্শও দেয়া হয়।

ছবি- নতুনবার্তার সৌজন্য

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/