পেকুয়ায় আবারো মাদকজাত দ্রব্যের উপদ্রব দেখাদিয়েছে। দেশীয় তৈরী মদ, ফেন্সিডিল, গাজার মজুদ ও বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের ঘটনায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটক বা ধাওয়া করা হলেও ইয়াবার মতো বিপদজনক মাদক মজুদের ঘটনা ঘটেনি।
ভ্রাম্যমাণ কিছু ব্যক্তি মরণনেশা ইয়াবার সরবরাহ দেয়া থাকলেও এখন কয়েকটি জায়গায় ইয়াবার মজুদ রাখার খবর শুনা যাচ্ছিল। প্রথম বারের মতো চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীর ২হাজার পিচের বড় চালান পেকুয়া সদরের আহমদডিলার চৌমুহনী থেকে র্যাব আটক করলে সাধারণ লোকজনের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। এতদিন শুনা যাচ্ছিল বারবাকিয়ার ‘শ’ অধ্যাক্ষরের এক প্রভাবশালীর তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ কিছু যুবক দৈনিক ও সাপ্তাহিক ছোট ছোট চালানে ইয়াবার সরবরাহ দেয়ার খবর ছিল। এছাড়া শিলখালীর ‘খো’, ‘সৈ’, অধ্যাক্ষরের ও পেকুয়া সদরের ‘কা’, ‘বা’ ‘বে’ ‘শ’ অধ্যাক্ষরের ব্যক্তিরা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ শুনা গেলেও প্রথম বারের মতো বড় একটি ইয়াবার চালান ২২আগষ্ট দিবাগত রাত ১২টার দিকে র্যাব ব্যবসায়ী যুবক সহ আটক করলে এ আতংকের সৃষ্টি হয়। সাধারণ লোকজনের অভিযোগ অধ্যাক্ষর সাংকেতিক ব্যক্তিরা রাজনৈতিক প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় মারাত্মক মাদকজাত ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কোন কাজ কর্ম না করে স্বত্ব বিত্তের মালিক না হয়েও এসব অধ্যাক্ষরের লোকেরা বিলাসিতার জীবন যাপন করায় এমনিতে তাদের নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই।
এখন ওইসব লোকজনের সাথে নিয়মিত সখ্যতা রক্ষাকারী ব্যক্তি শাহাদত ২হাজার পিচ ইয়াবা সহ র্যাবের হাতে আটক হওয়ায় সবার কাছে তাদের ব্যাপারে পরিস্কার ধারণার সৃষ্টি হলো। সম্প্রতি পেকুয়া থানা পুলিশের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করে অভিযান অব্যাহত রাখলে পেকুয়া চৌমুহনী, আহমদ ডিলার চৌমুহনী, ভোলাইয়াঘোনা, মামা ভাগিনার দোকান, পিইয়াজ্যাপাড়ার মাদক আড্ডা স্থান পেয়েছিল বারবাকিয়া বাজারের পূর্ব পাশে ও শিলখালী কসাইপাড়া, কাচারীমোড়া এলাকায়। আর মাদক পৌছেদিত মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যমে। আর মাদক সরবরাহে ব্যবহার করা হতো স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ও ভিক্ষুকবেশী মহিলাকে। আর আহমদডিলার চৌমুহনীর পশ্চিম পাশের সড়ক ওপর থেকে বারবাকিয়া রাস্তার মাথা পর্যন্ত এলাকায় মটর সাইকেল বা সিএনজি আরোহন করে গেয়ে মদ ও ইয়াবা নিয়ে দ্রুত নিরাপদে চলে যেত ক্রেতা বিক্রেতারা। ২৪আগষ্ট পেকুয়া সদরের আন্নর আলী মাতবার পাড়ার মৃত আহমদ শফির ছেলে ইলিয়াছকে(২৮) মদ খাওয়ার অপরাধে আটক করে পরে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে সোপর্দ করলে তাকে নগদ ৫শ টাকা জরিমানা ও ভবিষ্যতে এরকম মদ না খাওয়ার মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
পুলিশের অব্যাহত অভিযানে প্রকাশ্যে মাতলামি অনেকটা কমলেও ক্রয় বিক্রয় বন্ধ হয়নি।
এব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব বলেন, মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড়নেই উল্লেখ করে বলেন, যে কেউ সঠিক তথ্যদিলে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করা হবে।
You must be logged in to post a comment.