কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ায় বঙ্গোপসাগরের বেড়িবাধ ভেঙ্গে জোয়ারের অস্বাভাবিক পানিতে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২৯ আগস্ট পেকুয়ার মগনামা কাকপাড়ায় ৩টি পয়েন্টে নতুনভাবে বেড়িবাধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি লোকালয়ে পবেশ করে চিংড়িঘের ও গ্রামীণ সড়ক সহ শতাধিক বসতঘর প্লাবিত হয়েছে। ৩০ আগস্ট উজানটিয়ার টেকপাড়ায় পূর্ণনির্মিত বেড়িবাধ ৪০ফুট মত ভেঙ্গে গিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
এদিকে ২দিন ধরে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিরাদিয়ায় গত বন্যায় ও ঘূর্ণিঝড় কোমনের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধের অংশ দিয়ে অস্বাভাবিক ভাবে জোয়ারের পানি ঢুকে পেকুয়া সদরের সিরাদিয়া নন্দীর পাড়া, গোয়াখালী বাইম্যাখালী, সিকদার পাড়া, হরিণাফাড়ি সহ ২০টি গ্রামে জোয়ারভাটার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, চলতি পূর্ণিমার জোয়ারের পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩থেকে ৪ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ বেড়িবাধ কয়েক দফা বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাতে মগনামর কাকপাড়া, শরৎঘোনা উজানটিয়ার টেকপাড়া, পশ্চিম উজানটিয়া করিমদাদ মিয়ার ঘাট এলাকায় পেকুয়া সদরের মাতামুহুরী নদীর বাঙ্গোজারা, রাজাখালী ইউনিয়নের বখশিয়াঘোনা, সুন্দরী পাড়া সহ বেশ কিছু অংশে বেড়িবাধ মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ হয়েপড়ে।
সাগরতীরবর্তী এসব ইউনিয়নের ১৫টি স্পটে ১২শ ফুট দৈর্ঘের বিধ্বস্ত বেড়িবাধ দ্রুত নির্মাণের জন্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩০লাখ টাকা করে দুদফার ৬০লাখ টাকার জরুরী বরাদ্দ ঘোষণা করে ইতোমধ্যে মাতামুহুরী নদী ও মগনামা উজানটিয়া পেকুয়া সদর ও রাজাখালীর বিধ্বস্ত বেড়িবাধ পূর্ণনির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছে।
নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই নতুন করে বেড়িবাঁধ আবারো ভেঙ্গে গেলে বিপদ দেখা দিযেছে। দীর্ঘ ১মাস ধরে পেকুয়া সদরের সিরাদিয়ার ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাধ পূণ:নির্মাণ না করায় বর্তমানে জোয়ারভাটা অব্যহত রয়েছে। জরুরী বরাদ্দের কাজ গুলো অতি নিম্নমানের করায় মগনামা ও উজানটিয়ায় পূণ:রায় ভেঙ্গে গেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছে।
এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্বের ভাঙ্গা অংশ জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণের জন্য জরুরী বরাদ্দের কাজ টেকসই নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বুঝে নেয়া হবে। নতুন ভাঙ্গা অংশ দ্রুত পূণ:নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.