এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী, পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্টানে ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খান বলেছেন, সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও জন-সমাজ প্রতিনিধিদের জনহিতকর কাজের সূফল সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে এ মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। উন্নয়ন মেলার মাধ্যমে সরকার, প্রশাসন, জন-সমাজ প্রতিনিধিদের কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার পাশাপাশি সর্বসাধারনের জন্য গৃহিত এবং সম্পাদিত উন্নয়ন জনহিতকর কাজের সূফল নিশ্চিত করা সম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন। আর এতে উন্নয়নের নিরাপত্তা ও সূফল নিশ্চিত করার সাথে অর্জিত হবে মেলার স্বার্থকতা। উন্নয়ন মেলার গুরুত্ব অপরিসীম হলেও তার আয়োজনে বরাদ্দ অপ্রতুল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বরাদ্দ বাড়িয়ে এ মেলা তৃণমুলেও ছড়িয়ে দেয়া উচিত্। সারাদেশের মতো পেকুয়াযও অনুষ্টিত হয়েছে উন্নয়ন মেলা। গত ২অক্টোবর থেকে ৪অক্টোবর পর্যন্ত ৩দিন ব্যাপী এ উন্নয়ন মেলা সম্পন্ন হয়।
৪অক্টোবর রোবার এ উন্নয়ন মেলার সমাপনী দিনে পেকুয়া জিএমসি স্কুল চত্বরে এক আলোচনা সভা ও পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্টিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশিদ খান। উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম.শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জিএমসি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার এনামুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্টিত আলোচনা সভা ও পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্টানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পেকুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এইচ এম মনিরুজ্জামান রাব্বানী, পেকুয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা এম. ওসমান গণি, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান, কানুনগো বাবু সুখ হরন চাকমা, পেকুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি পেকুয়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার মোঃ হানিফ চৌধুরী ও সংবাদকর্মীদের পক্ষে বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিওজেএ)র সভাপতি সাংবাদিক এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্য নেতৃস্থানীয়রা।
৩দিন ব্যাপী অনুষ্টিত এ উন্নয়ন মেলায় স্টল ও প্রদর্শনীতে প্রথম স্থান অধিকার করায় উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, ২য় স্থান অধিকার করায় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ ও ৩য়স্থান অধিকারী হিসাবে বিআরডিবি’র একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নেতৃস্থানীয়দের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেওয়া হয়। এদিকে, পেকুয়ার উন্নয়ন মেলা ৩দিনের (২অক্টোবর থেকে ৪অক্টোবর পর্যন্ত)আয়োজনের কথা বলা হলেও স্টল নির্মান আর তা চালুবস্থা দেখা গেছে ৩অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা ও পরদিন ৪অক্টোবর বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ তা গুটিয়ে ফেলার পাশাপাশি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ভারতে কারান্তরীন সালাহউদ্দিন আহমদের জন্ম গ্রাম ও বিএনপি-জামাতের দূর্বেধ্য ঘাটি হিসাবে পরিচিত পেকুয়ায় অনুষ্টিত উন্নয়ন মেলায় এলাকার ৬-৬টি ইউপি, উপজেলা নির্বাচন কমিশন, হিসাব রক্ষন অফিস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পেকুয়া থানা, স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং এলাকায় বিদ্যমান বেশিরভাগ প্রতিষ্টানকে এ মেলার কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা মিলেনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির নেতৃস্থানীয়দের যোগাযোগ করলে বর্তমান সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করার অংশ হিসাবে সারাদেশে মতো পেকুয়ায় আয়োজিত উন্নয়ন মেলার বিষয়ে তাদের অবহিততো করা হয়নি এমনকি তাদের পক্ষে স্টল স্থাপন বা প্রদর্শনের সূযোগ দেয়া হয়নি স্থানীয় বিএনপি সমর্থীত উপজেলা চেয়ারম্যান ও জামাত সমর্থীত পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানের চক্রান্তে। বিষয়টি প্রসঙ্গে জানতে ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, পেকুয়া উপজেলা পরিষদে অধিকাংশ দপ্তরই নেতৃস্থানীয় কর্তাশুন্য। তাছাড়া উন্নয়ন মেলার বিষয়ে সরকার ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আগাম কোন নির্দ্দেশনা দেয়নি। বরাদ্দও ছিল অপ্রতুল। এমনকি স্থানীয় প্রশাসন ক্ষমতাসীন ও বর্তমান প্রধান বিরোধীদলের নেতৃস্থানীয়দের কাছ থেকে পায়নি কোন ধরনের পরামর্শ। বেশকয়দিন ছিল কোরবানী ঈদের ছুটি যার কারনে যেধরনের প্রস্তুতির প্রয়োজন দরকার কুলিয়ে উঠতে না পারায় জমকালো আয়োজনে মেলাটি সম্পন্ন সম্ভব না হলেও আগামীতে এধরনের আয়োজনের বিষয়ে প্রশাসন থাকবে সতর্ক প্রস্তুতি অবস্থানে। যাতে পত্র পত্রিকায় আর এনিয়ে লেখালেখি করতে না হয়।
You must be logged in to post a comment.