পেকুয়ায় শিবিরের হামলায় যুবলীগের ৫ নেতাকর্মী আহত ভাইস চেয়ারম্যানসহ জামায়াত-শিবিরের ১০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা : আটক ১

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় জামায়াত-শিবির ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শিবির কর্মীদের ছোঁড়া ইটপাটকেলের আঘাতে যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের ৫জন নেতাকর্মী আহত হয়। এঘটনায় আটক করা হয় উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মফিজুর রহমানকে। জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ফাঁসি দেয়ার প্রতিবাদে জামায়ত-শিবির ঝটিকা মিছিল বের করে তান্ডব শুরুর চেষ্টা করলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বাঁধা দিলে সংঘর্ষ হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার ভোর রাত ১টার দিকে পুলিশ বাদী হয়ে একটি নাশকতা মামলা দয়ের করেছে। এ মামলায় স্থানীয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়াও উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জামায়াত শিবিরের ১০ জন নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।এ ঘটনায় উত্তপ্তকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে পেকুয়ায়।

ইটপাটকেলের আঘাতে আহতরা হলেন-টৈটং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো: বাচ্চু, যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন, মোনাফসহ ৫জন।

ঘটনার পর পর আটক করা মফিজুর রহমান পেকুয়া উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও উখিয়ার সোনার পাড়ার বাসিন্দা।

মিছিল বের করে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আটক করা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মফিজুর রহমান ছাড়াও পেকুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পেকুয়া সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নুরুজ্জামান মঞ্জু, সাবেক উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির, বারবাকিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবদুর রহিমসহ জামায়াত শিবিরের ১০ জন নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।

পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া বলেন, শিবিরের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে স্থানীয় জনতার সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় শিবিরের এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনায় আহতরা যুবলীগের নেতা-কর্মী কিনা জানা নেই। নাশকতার অভিযোগে জামায়াত-শিবিরের ১০ নেতা-কর্মীকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।