অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ:
বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র সম্পর্কে গবেষণার মাধ্যমে হাতে কলমে ধারণা পেতে ও প্রকৃতি অন্বেষণে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান ঘুরে গেলো কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শতাধিক শিক্ষার্থী। বনভূমি ও বনজসম্পদ সুরক্ষার বিষয়েও জেনেছেন তারা।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লাগোয় ফুলছড়ি রেঞ্জাধীন মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানে শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র সম্পর্কে ধারনা দিতে এ কর্মসূচীর আয়োজন করেন ক্রেল এনজিও।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ ও মেদাকচছপিয়া জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কর্মসুচীতে অংশ নেন চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা কলেজ ও খুটাখালী তমিজিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
ক্রেল প্রকল্প চকরিয়া উপজেলা সাইট অফিসার মো. আবদুল কাইয়ুমের সঞ্চালনায় গবেষণা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: শাহ-ই-আলম, চকরিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ হোসেন ভূইঁয়া, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবুল মনছুর, ক্রেল প্রকল্পের রিজিওনাল কর্মকর্তা শফিকুর রহমান, ক্রেল প্রকল্পের কর্মকর্তা কবি বিশ্বজিত সেন, মেধাকচ্ছপিয়া বনবিট কর্মকর্তা মো: আকতারুজ্জামান, ডুলাহাজারা কলেজের অধ্যাপক মিন্টু কুমার চৌধুরী, তমিজিয়া মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা রাহমতুল সালাম, চকরিয়া রিপোর্টাস ক্লাব সভাপতি বশির আল মামুন, চকরিয়া প্রেসক্লাব অর্থ সম্পাদক এম.জিয়াবুল হক, মেধাকচছপিয়া সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি বাহাদুর হক।
অনুষ্ঠানে ক্রেল প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ, মেদাকচছপিয়া জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাাপনা কমিটির সকল সদস্য, সিপিপি কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডুলাহাজারা কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল মাহমুদ সৌরভ, জন্নাতুল ফেরদৌস, তমিজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী আবদুলাহ আল মুরাদ জানান, শতবর্ষীয় গর্জন গাছ সমৃদ্ধ মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানে তারা এসে প্রকৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি।
এছাড়াও বন সম্পদ ও বনভূমি কিভাবে সুরক্ষা দিতে হয় সেবিষয়্ওে সম্যক ধারনা পেয়ে আমরা উপকৃত। প্রকৃতি রক্ষা সভার এগিয়ে আসার প্রয়োজনও বলে মনে করেন তারা।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: শাহ-ই-আলম বলেন, মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানটি খুবই মনোরম। এখানে বিলুপ্ত প্রায় শতবর্ষীয় মাদার গর্জন বাগান রয়েছে। এ উদ্যোনটি বিনোদনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গবেষণা ক্ষেত্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
You must log in to post a comment.