হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া:
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বহুল আলোচিত সীমান্ত জনপদ পালংখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতা আরফাত হোসেন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় একটি প্রভাবশালী মহল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ সহ ১১ জন আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ নিয়ে বিবৃতি, পাল্টা বিবৃতি, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সমাবেশ সহ বিভিন্ন উত্তপ্ত কর্মসূচি নিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতিকে এলাকায় সচেতন মহল স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতিতে অশনীসংকেত বলে মনে করে অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দাবী করেছেন।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় পালংখালী ষ্টেশনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে লিখিত বক্তব্যে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদের পিতা হাজী আহমদ উল্লাহ বলেন, আলী আহমদ ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে ৪ বছর সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার আশা করে এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড সহ হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে দু’হাত সম্প্রসারিত করে সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায়, এলাকায় তার গণজোয়ার সৃষ্টি হতে দেখে একটি মহল সহ্য করতে পারছিল না।
তিনি বলেন, এলাকার কতিপয় সুবিধাভোগী চিহ্নিত অস্ত্রধারীর সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখে অতি সুকৌশলে আমার দুই ছেলেকে একটি হত্যা মামলায় মিথ্যা আসামী করেছে। তিনি বলেন, আমার পরিবার সারা জীবন প্রতিপক্ষের সাথে রাজনীতি করে তাদেরকে এলাকায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। অথচ তারা সেই উপকারের প্রতিদান না দিয়ে উপরুন্ত প্রতিশোধের নেশায় বিভোর হয়ে একটি জঘন্য মামলায় আমার দুই ছেলেকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
তিনি উপস্থিত পালংখালী জনসাধারণের কাছে এর প্রতিকার চেয়ে ওইসব মিথ্যাবাদী ও দুর্লোভী প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার হওয়ার অনুরোধ জানান।
স্থানীয় ওমর ফারুক মাদরাসার মোহতমে হাজী আব্দুল মন্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ মনজুর, আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক মেম্বার ডাঃ আব্দুল মজিদ, সমাজ সর্দার মোক্তার আহমদ, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী রমজান আলী, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়েজুল ইসলাম, নুরুল আবছার, ৮নং আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলম, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ ইয়াছিন, সেক্রেটারী কবির আহমদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ওসমান গণি, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, নুরুল হক ও ছাত্রলীগ নেতা নিয়ামত সহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় আঞ্জুমানপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় ফারির বিল গ্রামের জাফর আলমের ছেলে আরফাত হোসেন গুরুতর আহত হয়। ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরফাত হোসেন মারা যায়। এ ঘটনায় জাফর আলম বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ ও তার ভাই ইব্রাহিম আজাদ সহ ১১ জনকে আসামী করে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
You must be logged in to post a comment.