গিয়াস উদ্দীন ভুলু, টেকনাফ
টেকনাফে আলোচিত হত্যাকান্ড আজিজুল হক প্রঃ মার্কিন মিয়া নিহতের ঘটনায় ১৩ জনকে এজাহারভুক্ত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার টেকনাফ মডেল থানায় নিহতের ছোট ভাই সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ফরিদ আলম, ইউপি সদস্য হামজালাল ও ছিদ্দিক আহমদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। অপরাপর আসামীরা হল, টেকনাফ সদরের ছোট হাবিবপাড়ার খলিলুর রহমানের ছেলে মোঃ জালাল, ইউছুপ জালাল বাহাদুর, মৃত নজির আহমদের ছেলে জালাল আহমদ, জালাল আহমদের ছেলে জসীম উদ্দিন, মৃত মকবুল আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ ও সৈয়দ আলম, জামাই মন্ডলপাড়ার মৃত রহিম আলীর ছেলে শামসুল আলম, নাজিরপাড়ার মৃত আবদুল মজিদ ছেলে নুরুল ইসলাম ও সুলতান আহমদ, ছোট হাবিবপাড়ার মৃত আবুল বশরের ছেলে আব্দুল্লাহ।
গত সোমবার টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়ার ছিদ্দিক ও ছেলে ফরিদ আলম বাহিনী একটি বিরোধীয় জমিতে অবৈধ জমি দখল ও সীমানা প্রচীরের চেষ্টা করলে, একই এলাকার মৌঃ নূরুল হক ও মার্কিন মিয়া বাঁধা দেয়। এ সময় মৌঃ নুরুল হক ও মার্কিন মিয়া উপর অতর্কিত গুলি ও দাড়ালো অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। এ খবর পেয়ে মা আমেনা খাতুন, চাচা গুরা মিয়া, মার্কিনের স্ত্রীসহ অন্যরা গেলে তাদেরকেও হামলা করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতও আহত মার্কিন মিয়া ও মৌঃ নুরুল হককে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। এ সময় আহতদের কক্সবাজার নেওয়ার পথে মার্কিন মিয়া মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এতে নিহত ও আহত দুই ভাইকে কক্সবাজার নেওয়া হয়। পরে নিহত মার্কিন মিয়াকে কক্সবাজার মর্গে রাখা হয় এবং গুরুতর আহত মৌঃ নূরুল হককে চট্টগ্রামে রেফার করা হয়। পরে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ আতাউর রহমান খন্দকারের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দাড়ালো অস্ত্রসহ টেকনাফ সদরের নাজির পাড়ার নুর মোহাম্মদ, সৈয়দ আলম, জসীম উদ্দিন, জালাল আহমদকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার জানান, মার্কিন মিয়ার হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার ছোট ভাই সাহাব মিয়া বাদী হয়ে হত্যার সাথে জড়িত ১৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়। তবে অন্যান্যদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায়।
You must log in to post a comment.