এবার ভাই বাদি হয়ে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক মামলা
মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত পরিচয় লাশটি উজানটিয়া ঠান্ডারপাড়া এলাকার মোক্তার আহমদের ছেলে মো. মানিকের দাবী করে ভাই মো.হারুন বাদি হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছয়জনকে আসামী করে হত্যার অভিযোগে একটি সম্পূরক মামলা দায়ের করেছেন। ফৌজদারি আবেদনটি পুলিশ কর্তৃক দায়ের করা মামলার সাথে সংযুক্তিপূর্বক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা লাশ উত্তোলন করে নিজেদের এলাকার কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬অক্টোবর) উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়্যাকাটা এলাকার ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত পরিচয় লাশটি উদ্ধার করে পেকুয়া থানা পুলিশ। পরে পেকুয়া থানার এসআই উত্তম কুমার সরকার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে। যার মামলা নং-১৫/১৭ইং।
পরিবারের দায়েরকৃত সম্পূরক ফৌজদারি দরখাস্তে অভিযুক্ত করা হয়- পেকুয়া উপজেলার ঠান্ডার পাড়া এলাকার শাহাবউদ্দিনের ছেলে শফি আলম, মোস্তাক আহমদের ছেলে ও ইউপি সদস্য এবং উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. ওসমান গণি, উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়্যাঘোনা এলাকার মৃত আবদুল্লাহর ছেলে মো: জাফর, ঠান্ডার পাড়ার নুরুল আবছার, রবি আলম এবং শাহেনা বেগম।
এদিকে, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো: ওসমান গণি এবং উপজেলা যুবলীগের সহসম্পাদক মো: জাফর দাবি করেন, আমরা ওই হত্যায় কোনভাবেই জড়িত নই। শুধুমাত্র হয়রানি করতেই আমাদেরকে অভিযোগে জড়ানো হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.