পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলায় কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ৫ম বারের মত পাহাড় ধস ও বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে লামা বাজার, নয়াপাড়া, চাম্পাতলী, চেয়ারম্যান পাড়া, বাস ষ্টেশন ও পাশ্ববর্তী চকরিয়ার বমু বিলছড়ি এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে ইতোমধ্যে লোকজনের স্বাভাবিক চলাফেরা বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা প্রশাসন থেকে লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনটি আশ্রয় কেন্দ্রে শত শত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ, লামা পৌরসভার মেয়র আমির হোসেন ও জেলা পরিষদ সদস্য জহিরুল ইসলাম ইতোমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যায় পানিবন্ধি মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন।
সর্তকতা নিশ্চিত করতে সকালে লামা উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার সকল মসজিদ থেকে মাইকিং করে পাহাড়ে পাঁদদেশে ঝুকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছেন।
লামা পৌরসভা মেয়র আমির হোসেন বলেন, পৌরসভা থেকে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে চাল বিতরণ ও রান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে। বন্যার্তদের খাবার পানি ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য জহিরুল ইসলাম জানান, শতাধিক বন্যার্তদের মাঝে খিঁচুড়ী ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
আসন্ন পরিস্থিতি নিয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। উপজেলা শহরে ৩টি আশ্রয়ন কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। আমাদের প্রযাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। তত্ক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে উপজেলা প্রশাসন থেকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.