চলতি বছরে ১ মাসের ব্যবধানে ২ দফা বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় কোমেনের ক্ষতচিহ্ন আজো সোজা করে ছাড়াতে দিচ্ছেনা জেলাবাসীকে। ক্ষতির তুলনায় তেমন সহযোগিতা বা বরাদ্দ মিলেনি সরকারি তরফ থেকে। বন্যা ও কোমেনের প্রভাবে জেলায় শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
জেলায় বন্যায় ৮৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ, মন্দির ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু সরকারি বরাদ্দ উক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহে অদ্যাবধি পৌঁছেনি।
জেলা প্রশাসকের ২৬ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রবল বর্ষন, পাহাড় ধস, জলাবদ্ধতা, বন্যায় ও ঘূর্ণিঝড়ে কোমেনের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির প্রণিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, জেলায় ধ্বংস প্রাপ্ত স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ এবং মসজিদ, মন্দিরের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। এতে মোট ৮৪৮টি বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ধ্বংসপ্রাপ্ত স্কুল, মাদ্রাসার সংখ্যা ১০৭টি, কলেজের সংখ্যা ১টি, আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৪৪টি, কলেজ রয়েছে ৬টি, মসজিদ ও মন্দিরের সংখ্যা ৪৯০টি।
উপজেলা ভিত্তিক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ হল। রামুতে ২৫৫টি, চকরিয়া পৌরসভাসহ চকরিয়া উপজেলায় ৪০৫টি, মহেশখালী পৌরসভাসহ মহেশখালীতে ১২২টি, কুতুবদিয়ায় ৮টি এবং টেকনাফ পৌরসভাসহ উক্ত উপজেলায় ৫৮টি। প্রতিবেদনে সদর উপজেলা, পেকুয়া এবং উখিয়াসহ ৩টি উপজেলায় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির চিত্র উঠে আসেনি। বিশেষ করে সদর ও পেকুয়ায় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির চিত্র উঠে না আসায় হতবাক হয়েছে অনেকে।
পেকুয়ায় ৭দিন যাবৎ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকলেও প্রতিবেদনে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, মসজিদ, ক্ষতির তালিকায় না আসায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা।
জেলা প্রশাসকের প্রবীত ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদনে ৮৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্ষতি হওয়া প্রতিষ্ঠানে অদ্যাবধি পর্যাপ্ত বরাদ্দ না পৌঁছায় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বিশেষ করে অনেক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা শুরু হলেও ক্ষতি কাটিয়ে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে। জরুরী ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া না হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতির আশংকা করছেন সচেতনমহল।
You must be logged in to post a comment.