বাংলাদেশের বাজারে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে নব্বই টাকার ওপরে। গত এক সপ্তাহে অতি প্রয়োজনীয় এই নিত্য পণ্যটির দাম বেড়েছে শতকরা ষাট ভাগের বেশি।
দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, দাম লাগামের মধ্যে আনতে এরই মধ্যে সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু দেশটির নিজস্ব উত্পাদন থাকা সত্ত্বেও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কেন? কেনইবা প্রয়োজন হচ্ছে সরকারি হস্তক্ষেপের?
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়ত্দার বিশ্বজিত্ দে বলছেন, গত সপ্তাহেও ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু যখনই ভারতের গণমাধ্যমে বলা হল দেশটিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তার পরদিন থেকেই বাংলাদেশে কেজিতে দশ থেকে পনের টাকা বাড়িয়ে দেয়া হল বলে উল্লেখ করছেন মি. দে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের পেঁয়াজের পাইকারি বাজারের প্রায় পুরোটাই ভারতের উপর নির্ভরশীল।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্যের সবচাইতে বড় পাইকারি বাজারটিই রয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে এবং দেশটির আমদানি-কারকেরাও এই খাতুনগঞ্জ ভিত্তিক ব্যবসাই করে থাকেন।
দেশটিতে যদিও নিজস্ব পেঁয়াজের উত্পাদন আছে কিন্তু তা অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় খুবই নগণ্য। ফলে, এই অন্য অনেক নিত্য পণ্যের মতো এই পণ্যটিরও জন্যও আমদানির উপর নির্ভর করতে হয় এবং দেশটির পেঁয়াজের বেশীরভাগ চাহিদাই মেটায় ভারত।
সূত্র : বিবিসি/শীর্ষ নিউজ,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.