বিজিবি ও বিজিপি’র পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আজ ১৫৯ বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত আনা হযেছে। ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন-এর অধীনস্থ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম বিওপি’র আওতাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুর বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্ত পিলার-৩০/১ এর সন্নিকটে ১০ আগস্ট সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রতিপক্ষ মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন এন্ড নাশনাল রেজিষ্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, মংডু ডিষ্ট্রিক্ট এর সাথে অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষে নেতৃত্ব দেন লেঃ কর্ণেল মোঃ রবিউল ইসলাম, পরিচালক, অধিনায়ক, ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাাটালিয়ন, কক্সবাজার এবং মিয়ানমার পক্ষে নেতৃত্ব দেন মিঃ শৈই নিং, ডেপুটি ডিরেক্টর, মিয়ানমার ইমিগ্রেশন এবং জাতীয় রেজিষ্ট্রেশন অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ পক্ষে উক্ত বৈঠকে বিজিবি’র সাথে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ প্রতিনিধি এবং ইমিগ্রেশন প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে মিয়ানমার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমার ইমিগ্রেশন এবং মিয়ানমার স্থানীয় জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
উক্ত বৈঠকে উভয় প্রতিনিধি দলের প্রধানগণ প্রথমে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর সাম্প্রতিককালে সাগরপথে মানব পাচারের শিকার হয়ে যে সকল বাংলাদেশী নাগরিক মিয়ানমারে আটকবস্থায় আছেন, তাদের মধ্য হতে জরুরী ভিত্তিতে প্রর্ত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক যাচাইকৃত ১৫৯ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আজ ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতু দিয়ে প্রর্ত্যাবাসন করা হয়।
তাদেরকে বিজিবি কর্তৃক কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ এবং ইমিগ্রেশন বিভাগের উপস্থিতিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নিকট হতে গ্রহণ করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কাছে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন হস্তান্তর করা হয়। উক্ত পতাকা বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয় বলে জানান লেঃ কর্ণেল মোঃ রবিউল ইসলাম, পরিচালক, অধিনায়ক, ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাাটালিয়ন, কক্সবাজার।
You must be logged in to post a comment.