বাল্যবিবাহ বন্ধে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় বক্তাগণ বলেছেন বাল্যবিবাহ বাংলাদেশে প্রকট আকার ধারণ করেছে। গত বছর দেশে শতকরা হিসেবে ৬৬টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। যা বিশ্বের হিসেবে তৃতীয়। সামাজিক কুফলতা থেকে বাঁচতে হলে ১৮ বছরের নিচের শিশু মেয়েদের বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে।
২৬ আগস্ট কক্সাবাজার এডিপি ওর্য়াল্ডভিশন বাংলাদেশ আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তাগণ এ কথা বলেন। এডিপির কনফারেন্স হলে ম্যানেজার বিভূদান বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তাগণ আরও বলেন-বাল্যবিবাহের ফলে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার ও শিশু অপুষ্টির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহতের পাশাপাশি শিক্ষার হার ও গুনগতমান হ্রাস পাচ্ছে। সর্বোপরি নারী ও শিশুর সাথে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ থেকে উত্তরণে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা আরও কার্যকর ও দৃশ্যমান করতে হবে। পাশাপাশি স্ব-স্ব অবস্তুান থেকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ, খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার আব্দুর রহিম, কক্সবাজার পৌর কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, প্রবীন সাংবাদিক প্রিয়তোষ পাল পিন্টু, এনজিও ব্যক্তিত্ব ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল, অজিত নন্দী, রাফিয়া আকতার।
কক্সবাজার এডিপির লাভলী হুড সিকিউরিটির প্রজেক্ট ম্যানেজার সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় রিসোর্সপারসন ছিলেন শিক্ষা প্রজেক্ট ম্যানেজার বেকি ত্রিপুরা, স্পন্সরশীপের টিম লিডার প্রদোষ মানকিন।
কর্মশালায় স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি ছাড়াও সাংবাদিক, শিক্ষক, এনজিও ব্যক্তিত্ব, ধর্মীয় নেতা, শিশু ফোরাম ও এনসিটিএফ-এর প্রতিনিধিসহ অন্তত: ৪০ জন অংশগ্রহণ করেন।
You must log in to post a comment.