কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় দিনের পর দিন ফসলী জমি নষ্ট করে গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল ভবন। বাণিজ্যিক অট্রালিকার গ্যাড়াকলে শিশুদের খেলাধুলার জন্য স্থান নেই বললেই চলে। নেই পর্যাপ্ত কোন প্রাকৃতিক পরিবেশ। ব্যস্ত পিতা-মাতার সন্তানরা বিনোদন বলতে ভিডিও গেমস আর গুটি কয়েক ইনডোরে মোবাইল বা কম্পিউটার গেমস নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। বিশেষ কোন ছুটির দিনে বা পিতামাতার অবসরে দায়িত্বশীল অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত ঘেষা আরো দক্ষিণে নিরিবিলি পাঁচ তারকা হোটেল সী পার্ক সংলগ্ন মনোরম পরিবেশে নিয়ে গিয়ে পরিবারের সদস্য ও শিশুদের প্রত্যাশা কিছুটা হলেও পূরণ করেন। কক্সবাজার জেলার বিনোদনের বেশ কয়েকটি স্থানের মধ্যে উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত ও সী-পার্ক এলাকা অন্যতম প্রধান বিনোদন মাধ্যম। এখানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান হতে আসা পর্যটকরা বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেয়। পর্যটকরা তাদের ছেলে-মেয়েসহ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসলেও দ্বিতীয়বার আর এখানে আসতে চান না। কারণ হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে আসা ব্যাংকার শাহ হোসাইন জানালেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করার পর ষ্টেডিয়ামের পাশ ঘেষা ঝাউগাছের ভেতর দিয়ে স্ব-পরিবারে হেটে যাচ্ছিলাম সেখানে দেখলাম যুবক যুবতী-তরুণ-তরুণীদের প্রেমলীলা।
ঝাউবাগানটিতে ঢুকলে চোখে পড়ে কোপত কোপতিদের জোড়া জোড়া করে বসার এলাহি কান্ড। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমুদ্রের কূলঘেষা ঝাউবাগানটি নষ্ট ছেলে মেয়েদের নষ্টামি করার জায়গা ছাড়া আর কিছুই নয়। ছেলেমেয়েদের সামনে এমন দৃশ্য দেখতে হওয়ায় খুবই খারাপ লেগেছে। ব্যস্ত অভিভাবকরা যখন সামান্য সময়ের ফাঁকে শিশুদের নিয়ে এ পথ দিয়ে হাটে তখন ঝাউগাছের অভ্যন্তরে জোড়ায় জোড়ায় বসা প্রেমিক যুগলের বাহুবন্ধনে কান্ড দেখে তখন তাদের সন্তানদের নিয়ে কেমন বিড়ম্বনায় পড়েন। তা ভুক্তভোগীরাই একমাত্র উপলব্দি করতে পারেন।
You must be logged in to post a comment.