এম আবু হেনা সাগর; চট্টগ্রাম থেকে
টানা বৃষ্টিসহ জোয়ারের পানিতে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। রাতের বৃষ্টিতে ডুবলো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, অলি-গলি, নিচ তলার বাসাবাড়িসহ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। সেই সাথে বৃষ্টির পানিতে যোগ হয় জোয়ারের পানিও। যার ফলে নিচু এলাকায় পানিতে বন্দি।
চলতি বর্ষা মৌসুমে নগরবাসী এমন জলাবদ্ধতা আর দেখেনি। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। অন্যদিকে বৃষ্টির সাথে জোয়ারের পানি লেগে আছে।
৬ আগস্ট সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বাকলিয়া, তুলাতলী, চকবাজার, বহদ্দারহাট, মেয়র ভবনের সামনের গলি, মুরাদপুর, সিএমবি, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, মাজার গেইটের নানা পয়েন্টসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক-উপসড়ক পানিতে বন্দি। নালা ও ড্রেন পরিষ্কার না থাকায় সড়ক ও অলি-গলি থেকে পানি খালে যেতে সময় লেগেছে। ফলে নগরীর বিভিন্ন নিচু এলাকায় দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বাসা-বাড়িতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে।
অন্যদিকে নোংরা পানি ডিঙিয়ে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া খোলা ডাস্টবিনের ময়লা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে। বাসায় পানি প্রবেশের ফলে নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস।
ক’জন সাধারণ পথচারীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, বর্ষার আগে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার না করার এহেন অবস্থা বলে জানায়। বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের পানিও থেমে নেই। চট্টগ্রাম জুড়ে জনদূর্ভোগ চরমে বললে চলে।
এক বাসার ভাড়াটিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনদিন ধরে বাসার নিচে মার্কেটে সব দোকানপাঠ বন্ধ। প্লাবিত হওয়ার কারনে। সবখানে পানি আর পানি। বন্যার সুযোগে জিনিসপত্রসহ যানবাহনের ভাড়াও বৃদ্ধি নিচ্ছেন।
You must be logged in to post a comment.