সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / বোনের বিক্রিত গাছ কাটতে বাঁধা দেয়ায় ভাই আহত, জড়িত সন্দেহে আটক ২

বোনের বিক্রিত গাছ কাটতে বাঁধা দেয়ায় ভাই আহত, জড়িত সন্দেহে আটক ২

 

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :
বান্দরবানের লামায় বোনের বিক্রি করা গাছ কাটতে ভাই কর্তৃক বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে হ্লামংসাই নামের এক যুবক রক্তাক্ত জখম হয়েছে।

 

লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দরদরী বৈক্ষমঝিরি এলাকায় শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় এই ঘটনা ঘটে। আহতদের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বৈক্ষমঝিরিতে মারী মার্মা নামের এক নারী ৮টি সেগুন গাছ ত্রিশ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী ইউছুপের নিকট। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে ক্রয়কৃত গাছ কাটার জন্য ইউছুপের লেবার স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ সহ তিনজন সেখানে যায়।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লেবার ফিরোজ গাছ কাটতে চাইলে মারী মার্মার ভাই হ্লামংসাই মার্মা বাঁধা দেয়। এ সময় তার বোন বিক্রিত গাছটি কাটার জন্য বললে পরিবারের অন্যরাও বাঁধা দিতে থাকে। এর এক পর্যায়ে তারা নিজেরাই দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে লেবারের কাছ থেকে দা কেড়ে নিতে ধস্তাধস্তি শুরু করে।

 

এ সময় অসতর্কতাবশত মারী মার্মার ভাইয়ের বাঁ কাঁধে দায়ের আঘাত লেগে কেটে যায়। অন্যদিকে ধস্তাধস্তিতে লেবার ফিরোজও আহত হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শাহ আলম।

 

কিছুক্ষণ পর লেবার ফিরোজ মাথা ও বুকে পিঠে ব্যথা নিয়ে একই হসপিটালে ভর্তি হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হ্লামংসাই মার্মার গায়ে দারালো কিছুর আঘাত আছে। অপরদিকে ফিরোজের গায়ে আঘাতের চিহ্ন নেই, তবে তার উচ্চ রক্তচাপ আছে।

 

এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার উহ্লামং মার্মা জানান, ‘বোন মারী মার্মা ও তার ভাই হ্লামংসাই মার্মার মধ্যে গাছগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মালিকানা দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আজ গাছগুলো কাটতে গেলে সেখানে মারী মার্মা ও হ্লামংসাই মার্মা তারা ভাই বোনে বাকবিতন্ডা দেয়। এক পর্যায়ে লেবার ফিরোজ থেকে দা কেড়ে নিতে গিয়ে হ্লামংসাই মার্মা জখম হয়।’

 

এই ঘটনার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যােগ নিয়েছি। এই ঘটনাকে কোনো মহল অন্যভাবে নেয়ার চেষ্টা করলে সেটা দু:খজনক হবে।’

 

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ফিরোজ ও ফারুক নামের দুইজনকে আটক করেছেন লামা থানা পুলিশ। লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শামীম শেখ বলেন, এই বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁও থানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় চার আসামী গ্রেফতার

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে থানা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মামলায় ৪ আসামীকে গ্রেফতার ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/