এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
ভূট্টা চাষ করে সফলতার ধারপ্রান্তে বললেই চলে ঈদগাঁওর মামুনকে। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে অধিক কষ্ট আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে এ চাষাবাদে স্বাবলম্বী পথে এগুতে যাচ্ছে। সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের তরুণ প্রজম্মের মামুনর রশিদ বিগত ২/৩ মাস ধরে এ ভূট্টা চাষে নানা ভাবে সময় ব্যয় করছে। এমনকি তারই মামা রফিক ও বেদারের অনুপ্রেরণায় এ চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে মাঠে নেমেছে। দু’কানির বেশি জমিতে এ চাষাবাদে হাতছানি দিয়ে ডাকছে মামুনকে। অজপাড়া ঈদগাঁওর ভাদিতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে এ ভূট্টা চাষ করে নানা সময়ে পরিচর্চায় ব্যস্তমূখর দিন পার করছে এ তরুণ। এমনকি সদরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সার ও ভূট্টাবীজ প্রদান করা হয় বলে এ প্রতিনিধিকে জানান মামুন। অপরাপর কাজ তাকে চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ চাষাবাদে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে বলে জানা যায়। ইতোমধ্যে ভূট্টার ফলন দেখা দিয়েছে। হয়তো কিছুদিন পার হলেই সফলতার ধারপ্রান্তে এগিয়ে যাবে। এ ভূট্টা থেকে মুরগীর খাদ্য, তৈল, আটা, খই, মাছের খাদ্য সহ লোকজন নানা ভাবে এ ভূট্টাকে ব্যবহার করে থাকে।
২১ মার্চ সকালে ভাদিতলায় ভূট্টাচাষ পরিদর্শনে গেলে এমন চিত্র চোখে পড়ে। সেখানে এ চাষাবাদের উদ্যেক্তা জালালাবাদ পালাকাটার তরুণ ও ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মামুনর রশিদের সাথে আজকের দেশ-বিদেশের এ প্রতিনিধির একান্ত কথা হলে- তিনি জানান দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এলাকার যুব ও তরুণ সমাজকে নানান চাষাবাদের প্রতি আগ্রহবৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এ কাজে অংশ নেওয়া। ভবিষ্যতে উঠতি প্রজম্মরাও দেশের মাটিতে চাষাবাদ করে সোনালী বাংলাদেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে পারে।
You must be logged in to post a comment.