নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা আগামী ১৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।
১৪ মে রোববার রায় স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই স্থগিতাদেশ দেন। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় শুনানির জন্য আবেদন জমা দেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিটের পক্ষে ছিলে ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
গত ৭ মে বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিধান অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন উচ্চ আদালত। ফলে ২০০৯ সালের ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের আওতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে না বলে জানান আইনজীবীরা।
রায়ের সার-সংক্ষেপে হাইকোর্ট বলেছে, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের এসব ধারা মাসদার হোসেন মামলার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একইসঙ্গে সংবিধানের মৌলিক দুটি স্তম্ভ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতির পরিপন্থি। তাই এ ধারাগুলোকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হলো।’
২০০৭ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অধ্যাদেশ জারি করে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর জাতীয় সংসদে এটিকে আইনে পরিণত করে। এরপর থেকে এটি ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন ২০০৯ নামে পরিচিত।
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.