কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর হেতালিয়াঘোনায় চিংড়িঘেরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মোজাম্মেল হক প্রকাশ কালামিয়া নামের একজন চিংড়ীঘের শ্রমিক মারা গেছে। সে কালারমারছড়া ইউনিয়নের পূর্ব নুনাছড়ি এলাকার চাঁন মিয়া মাঝির ছেলে।
৩১ আগষ্ট সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীরা চিংড়িঘের খামার বাসাতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করে প্রায় পাঁচলাখ টাকার চিংড়ি মাছসহ বিভিন্ন মালামাল।
এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত দশজন। আহতরা হলেন- ঘেরের শ্রমিক মো: এরশাদ, ছব্বির আহমদ, মো: সরওয়ার, আবুল বশর। এদেরকে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যেক্ষদর্শী আহতরা জানান, মহেশখালীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোস্তফা কামাল ও ফেরদৌস বাহিনীর লোকজনই এ ঘটনা ঘটনায়। সোমবার ভোরে ১৫/২০ জনের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী চিংড়ীঘেরে ঢুকে ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে কর্মচারীদের ওপর গুলি ছুঁড়ে সন্ত্রাসীরা। এতে মোজাম্মেল হক প্রকাশ কালামিয়া গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নেয়ার পথে সে মারা যায়।
স্থানীয়রা জানায়, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত খুন, লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। পুরো এলাকায় কায়েম করেছে ত্রাসের রাজত্ব। দখল করছে অপরের চিংড়িঘের-সহায় সম্পত্তি। তাদের ইন্দন দিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
সন্ত্রাসীদের এসব অপকর্মের জন্য পুলিশকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। অনেক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের সাথে পলিশের আঁতাতের অভিযোগও রয়েছে। যে কারণেই প্রতিদিনই ঘটছে আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ড।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইকুল ইসলাম ভূইয়া উপরোক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
You must be logged in to post a comment.