সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / মহেশখালীর নিখোঁজ তারেককে ছাড়তে কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবী

মহেশখালীর নিখোঁজ তারেককে ছাড়তে কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবী

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :

মালয়েশিয়া ফেরৎ যুবক তারেক আজিজের সন্ধান মেলেনি ১২দিনেও। তাকে ছেড়ে দিতে কতিপয় দুস্কৃতকারী এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। তারেকের খোঁজ না পাওয়ায় মা ও সৌদি আরবে কর্মরত বাবাসহ পরিবার সদস্যরা ভুলে গেছে নাওয়া-খাওয়া। পাগলের মতো ছেলের নাম জবছে মা লায়লা বেগম। হণ্য হয়ে খোঁজলেও তারেকের সন্ধান পাচ্ছেনা আত্মীয় ও প্রশাসনের লোকজন। নিখোঁজ তারেক আজিজ কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ীস্থ মাইজপাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, দু’বছর পূর্বে মালয়েশিয়া থেকে ঘরে ফেরে তারেক আজিজ। এরপর পরিবারের জমিতে চাষাবাদ দেখাশুনা করতো। গত ২০ মার্চ সৌদি আরবে ওমরা করতে যাওয়া প্রস্তুতি নেয়া দাদীর জন্য হেরামের কাপড় কিনতে চকরিয়ায় গিয়ে আর ঘরে ফেরেনি তারেক।

আত্মীয়দের কাছে খবর নিলেও সন্ধান না পেয়ে ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে ২৪ মার্চ মহেশখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী রুজু করেন মা লায়লা বেগম।

এরপরও গতকাল ১এপ্রিল সন্ধ্যা পর্যন্ত তারেকের সন্ধান মেলেনি। এরই মধ্যে ২৪, ২৮ মার্চ ও ১ এপ্রিল তিন দফায় নিখোঁজ তারেকের মুঠোফোন থেকে মা লায়লা বেগমের মোবাইলে ফোন করে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবী করে দুস্কৃতকারীরা। ৪টি বিকাশ নাম্বারে ওই টাকা পাঠাতে বলে। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশায় ইতিমধ্যে মা লায়লা বেগম চারটি নাম্বারে ৬০ হাজার টাকা পাঠায়।

নিখোঁজ তারেকের ছোট ভাই আব্দুল আজিজ বলেন, বড় ভাইকে ছাড়তে মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়টি জেলা ডিবি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা হুমায়ুন রশিদ ট্র্যাকিং করে জানতে পারে বিকাশে পাঠাতে দেয়া নাম্বারগুলো কুমিল্লা, চট্টগ্রাম মহানগরের পাহাড়তলীসহ বিভিন্ন এলাকার। ফলে, আব্দুল আজিজকে চট্টগ্রাম ডিবি পুলিশের সহায়তা নিতে পরামর্শ দেন কক্সবাজার ডিবি পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

আব্দুল আজিজ আরো বলেন, আমার বড় ভাই তারেক আজিজ এইচএসসি পাস করে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় গিয়ে সমস্যা হওয়ায় ঘরে ফিরে আসে। নিখোঁজের পর থেকে সৌদি আরব থেকে বাবা কামাল হোসেন প্রতি মুহুত্বে খবর নিচ্ছেন, মাতারবাড়ির বাড়িতে অবস্থান করা মা লায়লা বেগম পাগলের প্রলাপ বকছেন, কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন দাদী ও বোনসহ নিকট আত্মীয়রা। আমি ৩১ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে রয়েছি। মহানগরের ডিবি কর্মকর্তাদের বড় ভাই নিখোঁজের পুরো ঘটনা অবহিত করেছি। আশা করছি তাদের সহায়তায় ভাই তারেককে ফিরে পাবো।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ছেলে তারে নিখোঁজ নিয়ে মা লায়লা বেগম থানায় ডায়েরী করেছেন। ফোন ট্র্যাকিং যন্ত্র না থাকায় তাদের জেলা ডিবি পুলিশের সহায়তা নিতে পরামর্শ দিয়েছি। পাশাপাশি আমি নিজেও নিখোঁজ তারেকের অবস্থান সনাক্ত ও উদ্ধার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওর সংবাদকর্মী আবু হেনা সাগরের মাতা অসুস্থ : দোয়া কামনা 

  বার্তা পরিবেশক : কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার সংবাদকর্মী এম আবুহেনা সাগরের মাতা অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের ইবনে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/