বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী, ডুলাহাজারা, চকরিয়ার মালুমঘাটের লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী। এরা যাবে কোথায়। নিত্য দিন পথ চলতে মহাসড়ক ব্যবহার করতে হয়। অথচ মহাসড়কে নেই কোন মাহিন্দ্র, সিএনজি, টমটম। আর যেগুলো চলে সেসব লোকাল যাত্রী তুলে না।
চকরিয়া ঈদগাঁওতে যাতায়াতের লোকাল এসব পরিবহন এখন বন্ধ। সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর নির্দেশের অজুহাত তুলে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা শত শত মাহিন্দ্র, সিএনজি, টমটম, রিক্সা আটক করে পরবর্তীতে বোঝাপড়ায় ছেড়ে দিয়ে প্রত্যহ হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। শুধু তাই নয় অভ্যন্তরীণ সড়ক মুখে পার্কিংয়ে থাকাও লোকাল যাত্রী সাধারণের চলাচলের মাধ্যম এসব যান আটক করেও অনৈতিক ধান্দায় মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে কর্তব্যরত সদস্যরা।
অভিযোগ রয়েছে-জন দুর্দশার এই কান্ডে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজিতে নেমেছেন পুলিশ ফাঁড়িতে কর্তব্যরত সার্জেন্ট আনোয়ার। প্রত্যহ সকাল থেকে রাত অবধি খুটাখালী থেকে হাঁসেরদিঘী পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এক মাহিন্দ্র চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান শুধুমাত্র কোরবানীর ঈদের আগেরও পরের এক সপ্তাহে ফাঁড়ি পুলিশ ছোট যান আটক করে চাঁদাবাজি করেছে।
সূত্র জানায়-চকরিয়া-ঈদগাহ পর্যন্ত মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীন সড়কে এতদিন অন্তত এক’শ মাহিন্দ্র-সিএনজি ও অন্তত চারশ টমটম যাত্রী পরিবহনেরত ছিল। সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর ঘোষণার পর সার্জেন্ট আনোয়ারকে মাস প্রতি হাজার টাকা গুণলেই মহাসড়কে চলাচলের অনুমতি মিলত। না দিলে ফাঁড়িতে মাহিন্দ্র, সিএনজি, টমটম আটক করে চার হাজার থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার নামে চাঁদা আদায় করে ছেড়ে দিত। সিএনজি চালক গফুর জানান-মালুমঘাটের টমটম চালক গফুর ক্ষোভের সাথে জানান-আমরা নিষেধ মেনে মহাসড়কে টমটম চালাই না। কিন্তু বাস স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে অভ্যন্তরীণ সড়কেও ঢুকতে দিচ্ছে না ফাঁড়ি সদস্য। এ ধারা অব্যাহত থাকলে কর্ম হারিয়ে আমাদের এখন পথে বসতে হবে।
খুটাখালীর যুবক জয়নাল, ডুলাহাজারার ডুমখালীর কবির জানান-মহাসড়কে চলাচলরত বাস-মিনিবাস ও মাইক্রোতে এখন বাস স্টেশন কেন্দ্রীক লোকাল যাত্রীদের জায়গা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
You must be logged in to post a comment.