পবিত্র কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরুর দাম গেল বছরের তুলনায় এবার বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে পুরো কক্সবাজার জেলায় গরু মাংশের বাজারে বিরুপ প্রভাব পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে গরু-মহিষ আসা বন্ধ হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও আথিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব আয় থেকে। মিয়ানমারের খামারিরা বাংলাদেশের বাজারকে টাগেট করে গরু লালন-পালন করে থাকে। তাই মিয়ানমার থেকে গরু-মহিষ আমদানি করা দরকার। এমনটিই মনে করছেন এখানকার গরু ব্যবসায়ীরা। তা না হলে কোরবানির পশুর দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
ঈদকে ঘিরে মিয়ামার থেকে আসতে শুরু করেছে গরু-মহিষ। উখিয়া-টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের গরু আসছে। দু’একদিন ধরে বৈধ ও অবৈধ পথে মিয়ানমারের গরু আসতে শুরু করে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে আসছে কোরবানির ঈদে পশুর সংকট হবে না বলে মনে করছেন গরু ব্যবসায়ী নুরুল আলম।
উখিয়ায় ৩টি বড় গরু বাজার রয়েছে। সপ্তাহে দুদিন এখানে গরুর হাট বসে। উখিয়া সদর গরু বাজারে শনি ও মঙ্গলবার, মরিচ্যা গরু বাজারে রবি ও বুধবার এবং কোটবাজার-রুমখা গরু বাজারে হাট বসে প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার।
উখিয়ার গরু ব্যবসায়ী মাহবুব আলম বলেন, মাঝে মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় মরে গিয়েছিল এখানকার গরুর হাট। এতে গরুর মাংসের দামও বেড়ে গেছে। উখিয়াতে এখন প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। অথচ ৬ মাস আগেও এখানে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হতো সবোচ্চ ৩২০ টাকা কেজি দরে। মিয়ানমার থেকে গরু আসতে শুরু করায় মরা গরুর হাট আবারও জমতে শুরু করেছে। আশা করি, কয়েকদিনের মধ্যে হাটের বেচাকেনা জমজমাট হয়ে ওঠবে। এই হাটের আরেক গরু ব্যবসায়ী ছৈয়দ আলম জানান, ঈদের আগে মিয়ানমারের গরু আমদানির পরিমান না বাড়লে এবার কোরবানির পশুর দাম গতবারের চেয়ে অনেক বেশি থাকবে।
You must be logged in to post a comment.