মিয়ানমার ফেরত ১২৫ বাংলাদেশীর মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ২৫ জনকে রেডক্রিসেন্টের মাধ্যমে বুধবার নিজ নিজ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর ১০০জনকে ২৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার নিজ নিজ থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। গত ২দিনে তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে অন্তত ৬০জন দালালের দাম পেয়েছে পুলিশ। এসব দালালদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে স্ব স্ব থানায়।
২৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে এক ব্রিফিং এ কক্সবাজার জেলা পুলিশের পক্ষে সিনিয়র এএসপি ছত্রধর ত্রিপুরা এসব তথ্য জানান।
মিয়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনার পর ১২৫ বাংলাদেশীর মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ২৫ জনকে বুধবার বেলা দুইটার দিকে আদালতে তোলা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অরুন পাল তাদেরকে রেডক্রিসেন্টের মাধ্যমে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার ঘুমধুম জিরো পয়েন্টের বিপরীতে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়ায় পতাকা বৈঠক শেষে বেলা দেড়টার দিকে এসব অভিবাসীদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। ১২৫ জনের মধ্যে দেশের ১৪টি জেলার অধিবাসী রয়েছে। এদের মধ্যে শুধু কক্সবাজার জেলার অধিবাসী রয়েছে ৮৬ জন।
অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে কক্সবাজার, বান্দরবান, ফেনী, ভোলা, চাঁদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও মেহেরপুর জেলার নাগরিক রয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার ঘুমধুম জিরো পয়েন্টের বিপরীতে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়ায় পতাকা বৈঠক শেষে বেলা দেড়টার দিকে এসব অভিবাসীদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।
এর আগে ৮ ও ১৯ জুন, ২২ জুলাই এবং ১০ আগস্ট ৪ দফায় সনাক্ত হওয়া ৫০১ জন বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত আনা হয়েছিল। সর্বশেষ ২৫ আগষ্ট পঞ্চম দফায় ফিরিয়ে আনা হয় ১২৫জনকে। এনিয়ে মিয়ানমারে থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে মোট ৬২৬ জন বাংলাদেশিকে।
এদের মধ্যে ২১ মে ২০৮ জন ও ২৯ মে ৭২৭ জনকে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার করেছিল দেশটির নৌ বাহিনী।
এরপর বাংলাদেশি হিসেবে দাবি করা তালিকা নিয়ে উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ওই তালিকায় সনাক্ত হওয়া বাংলাদেশীদের পর্যায়ক্রমে দেশে ফেরত আনা হচ্ছে।
You must be logged in to post a comment.