এম.বেদারুল আলম; কক্সভিউ:
সাগরে ১৫ দিন সর্বত্র ইলিশ আহরণ পরিবহন মজুদ, বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করলেও সরকারি নির্দেশনা বিদেশী ফিশিং বোটের কারণে কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। স্থানীয় জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মানলেও বাংলাদেশী জলসীমায় বিভিন্ন দেশের জেলেরা অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
সরকার ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিন ইলিশ ধরা ও বাজারজাত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখে। স্থানীয় জেলেরা সমুদ্রে মাছ আহরণ বন্ধ রাখলেও বাংলাদেশের জলসীমায় সেন্টমার্টিন উপক‚লে অনুপ্রবেশ করে মায়ানমারের জেলেরা মাছ শিকার করছে।
টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিন থেকে বিভিন্ন জেলেরা জানায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরা বন্ধ রাখে কিন্তু মায়ানমারের শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার নাফ সীমান্তে, সেন্টমার্টিন উপক‚লে এবং বঙ্গোপসাগারের কয়েকটি পয়েন্টে জাল পেতে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কোষ্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর টহল অব্যাহত থাকলেও কৌশলে মাছ শিকার করছে ভারত ও মায়ানমারের জেলেরা।
ফলে জাতীয় মাছ ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির সরকারী লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এদিকে জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ জানান, মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের জেলেরা টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং ৬ দফা দাবী সম্বলিত লিখিত অভিযোগে উক্ত অরক্ষিত পয়েন্ট সমূহে নৌবাহিনীর টহল জোরদার ও নজরদারী বাড়ানোর প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। তিনি মহীপাল ও বরগুনায় নৌবাহিনী ও কোষ্ট গার্ড কর্তৃক ভারতীয় ২১টি মাছ ধরার ট্রলার আটকের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, প্রশাসন আন্তরিক হলে মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের জেলেদের অবৈধ প্রবেশ ঠেকানো সম্ভব হবে।
You must be logged in to post a comment.