এম. আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও-ইসলামাবাদের বাঁশঘাটা যোগাযোগ ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। নানা কাজকর্মে দৈনিক ১৫/২০ হাজার লোকজন চলাফেরায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
জানা যায়, বিগত ৪ মাস পূর্বে চার দফা বন্যায় নির্মাণাধীন ঈদগাঁও-ইসলামাবাদের বাঁশঘাটা ফুট ব্রীজটি মাঝখানে ধসে পড়ে। সে থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিশাল এলাকার লোকজন নানা কষ্টের বিনিময়ে ঈদগাঁও বাসস্টেশন হয়ে যাতায়াত করে চলছে। মাঝপথে বাঁশঘাটা ফুট ব্রীজের নিচে নৌকা দিয়েও বেশ কিছুদিন অসহায় লোকজন নদী পারাপার হতে দেখা যায়। দুর্ভোগ আর দূর্গতিতে নিপতিত ছিল বৃহত্তর এলাকার লোকজন। আরো জানা যায়, এ ফুট ব্রীজ দিয়ে ইসলামপুর, পোকখালী, গোমাতলী, ইসলামাবাদের পাহাশিয়াখালী, বোয়ালখালী, ইউছুপেরখীল, টেকপাড়া, আউলিয়াবাদ, খোদাইবাড়ীর একাংশ, হরিপুরসহ বাঁশঘাটার আশপাশ এলাকার লোকজন ও পোকখালীর গোমাতলীসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত কোন না কোন কাজকর্মে জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারমুখী হতে দেখা যায়। অথচ এ বাজারে আসতে অসহায় লোকজনকে পোহাতে হচ্ছে নানা দূর্ভোগ আর দূর্গতি। এমনকি বিশাল এলাকার দৈনিক প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার লোক বাজারমুখী এবং কক্সবাজার শহরে এ ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। তার পাশাপাশি নির্মিত অবস্থায় ফুট ব্রীজটি ছোট আকারে হওয়ায় যানবাহন চলাচলে অক্ষম ছিল। সে থেকে এ পর্যন্ত নানা লোকজন কিংবা অসুস্থ রোগীকে নিয়েও এ ব্রীজের উপর দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল করতে না পারায় মহাকষ্টে দিন পার করছে। স্থানীয় লোকজন পারাপারে গাছ দিয়ে কোন রকম যাতায়াতের ব্যবস্থা করে। তবে এলাকার একাধিক লোকজনের মতে, এ ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন রূপে বড় করে নির্মাণ করার আহবান জানান।
এদিকে স্থানীয় শ্রমিকলীগ নেতা মনির আহমদ লেদুর মতে, এ ব্রীজটি বড় আকারে করে নির্মাণ করলে বিশাল এলাকার লোকজনের যাতায়াতের পাশাপাশি যানবাহন চলাচলে সুযোগ সৃষ্টি হবে। তবে লোকজনের ভোগান্তি কমবে।
সচেতন মহলের মতে, দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকা এ যাতায়াত ব্রীজটি নিয়ে বৃহত্তর এলাকার হাজার হাজার লোকজন চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ আর দুর্গতির শিকার হচ্ছে। এসব কিছু বিবেচনায় রেখে দ্রুততম সময়ে এ ব্রীজটি নির্মাণ করার দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।
You must be logged in to post a comment.