এম. আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও
রামু উপজেলার রশিদ নগরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ দুই পাম্প কর্মচারীকে চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা হচ্ছে রশিদ নগর ইউনিয়নের পানিরছড়া লামার পাড়া এলাকার এনামুল হকের ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম বলে জানা যায়।
তাদের সদর হাসপাতালে প্রেরণের পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। তাদের শরীরের বেশ কিছু অংশ আগুনে পুড়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত নয় টার দিকে রশিদ নগর ইউনিয়নের মামুন মিয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বাজারের জ্বালানী ব্যবসায়ী মেসার্স এরশাদ ট্রেডিং থেকে প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তেই জ্বালানীতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে লেলিহান পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দোকানে গিয়ে লাগে। এতে মুহুর্তেই একে একে ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরশাদ ট্রেডিংয়ের সত্বাধিকারী মোহাম্মদ হান্নান সিদ্দিকীর জ্বালানী প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক শর্ক সার্কিট কিংবা মজুদকৃত জ্বালানীর কোন এক স্থান থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে ব্যবসায়ীরা। ঐ প্রতিষ্ঠানের কোন কিছুই অক্ষত ছিল না। সর্বস্ব পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়।
প্রতিষ্ঠান মালিক কোনরকমে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে তার কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম (১৬)কে আহতাবস্থায় উদ্ধার করতে পারলেও ম্যানেজার গিয়াস উদ্দীন দীর্ঘসময় আগুনের সাথে লড়াই করে অবশেষে নিজ চেষ্টায় পেছনের দরজা ভেঙ্গে বের হয়ে আসে। তবে তার শরীরের অধিকাংশ স্থান পুড়ে যায়। এছাড়া আহত হয় দমকল কর্মীসহ আরো ৩ জন। আগুণে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান গুলো হল, হান্নান সিদ্দিকীর তেলের পাম্প মেসার্স এরশাদ ট্রেডিং, তার ভাই নাছির উদ্দীনের রবি সেবা পয়েন্ট, আয়াছ মিয়ার দোকান, অহিদের দোকান ও ওয়াকশপ। যাতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হলেও এখনো ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঐ অগ্নিকান্ডের সময় দীর্ঘ ৪ ঘন্টা মহাসড়কের দু’পাশে শত শত গাড়ী আটকা পড়ে। কক্সবাজার, রামু ও চকরিয়ার পৃথম দমকল বাহিনীর ইউনিট এ ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে নিতে দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালায়। রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রামু থানা পুলিশ ও উপজেলা পরিষদ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
You must be logged in to post a comment.