হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
কক্সবাজারের উখিয়া রেঞ্জের সরকারি বনভূমি জবর দখল করে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বস্তি নির্মাণে সহায়তা, সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও অস্ত্র-গুলি ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন ও নুরুল আমিনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ।
৬ সেপ্টেম্বর উখিয়া রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা ফেরদাউস আহমদ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় দুইজন ইউপি সদস্য ছাড়াও বালুখালী গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে আকবর আহমদ (৩৮), মৃত আলী হোছনের ছেলে ফখর উদ্দিন (৩৫), মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শাহ আলমগীর, মো. হোছনের ছেলে আবু তাহের ও মাস্টারের ছেলে বাপ্পি, থাইংখালী গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মনির আহমদকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৫০/৬০ জনকে আসামি করেছে বন বিভাগ।
অভিযোগে জানা গেছে, উখিয়া রেঞ্জের থাইংখালী বিট, উখিয়ার ঘাট বিট, উখিয়া সদর বিটের কুতুপালং ক্যাম্পের পাশের বাগান, বালুখালী ক্যাম্প, থাইংখালী তাজনিরমার খোলা, থাইংখালী পুলিশ গোলঘরের সঙ্গে সৃজিত বন বাগানের আশপাশে ও থাইংখালীর শফি উল্যাহ কাটা এলাকায় রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে অবস্থান নেয়।
মামলায় অভিযুক্তরা উক্ত রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে সরকারি বনভুমিতে বাঁশ গাছ ও পলিথিন দিয়ে ঘর নির্মাণে সহায়তা করে সরকারি সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করে। বন বিভাগের লোকজন অভিযুক্তদের বাধা দিলে তারা বন বিভাগের লোকজনদের উপর আক্রমণ করে সরকারি অস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে বলে অভিযোগে উলেখ করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, পালংখালী ইউপির বর্তমান ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন, নুরুল আমিন ও কামাল মেম্বারসহ একটি শক্তিশালী সিন্ডেকেট রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী ভাবে ঘর নির্মাণ করে দিয়ে প্রতিটি বস্তি ঘর থেকে ২/৩ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। উক্ত দুই মেম্বার সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে দেয়।
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যরা তাদের সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করে ইউপি সদস্য নুরুল আমিন জানান, মানবিক চিন্তা করে রোহিঙ্গাদের বনভূমিতে ঘর নির্মাণে সহায়তা করা হয়েছে। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. কায় কিসলু মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
You must be logged in to post a comment.