
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :
পারিবারিক সম্পদের বিরোধের জের ধরে ভাতিজা বউ লিমা আক্তার (২২)কে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে চাচা শশুর মাহমুদুল হক এর বিরুদ্ধে। আহত নারী লিমা আক্তারকে সোমবার রাত ৭টায় তার স্বামী মোঃ রুবেল লামা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার মোঃ জুনায়েদ জানান, আহতের চোখে, হাতে, তলপেট সহ শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সে লামা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত নারী লিমা আক্তার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ওয়াহেদআলী পাড়ার মোঃ রুবেল এর স্ত্রী। সোমবার বিকেল ৫টায় নিজ বাড়ির সামনে ফসলি জমিতে এই ঘটনা ঘটে। হামলাকারী মাহমুদুল হক একই গ্রামের মৃত কবির আহমদ এর ছেলে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে কান্নারত লিমা আক্তার জানান, বিকেলে তার চাচা শশুর মাহমুদুল হক (৫৫) বাড়ির সামনের জমিতে লাগানো সবজি ক্ষেত উপড়ে ফেলে এবং ক্ষেতের ঘেরাবেঁড়া নষ্ট করে। এসময় বাড়িতে কেউ ছিলনা। লিমা আক্তার প্রতিবাদ করায় চাচা শশুর মাহমুদুল হক ও চাচী শাশুড়ি নাজমা আক্তার তাকে চুলের মুঠি ধরে কিলঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। সে ডান চোখ, বাম হাতের আঙ্গুল, তলপেট সহ শরীরের অনেক জায়গায় ব্যাথা পায়। পরে খবর পেয়ে তার স্বামী ও দেবর তাকে উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সে তিন মাসের অন্তঃস্বত্তা। এসময় তাকে তলপেটের আঘাতে ব্যাথায় কাতরাতে দেখা যায়।
আহতের স্বামী মোঃ রুবেল বলেন, আমরা খবর পেয়ে লিমা কে উদ্ধার করতে আসলে আমার চাচা-চাচী আমাদের উপরও হামলা চালায়। তারা আমার স্ত্রীর শরীর থেকে এক ভরি স্বর্ণ ও হাতাহাতির সময় আমার পকেট থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এই বিষয়ে আইনী সহায়তা চেয়ে লামা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মাহমুদুল হক বলেন, এই ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আমি ও আমার স্ত্রী নাজমা আক্তার আহত হয়েছি। বিচার চেয়ে সরই পুলিশ ফাঁড়িতে যাই। তারা আমাদের আগে চিকিৎসা করাতে পরামর্শ দেয়। আমরা চিকিৎসা করতে হাসপাতালে আসছি।
সরই ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস কোম্পানী বলেন, দুই পক্ষ বিষয়টি আমাকে জানালে আমি তাদের চিকিৎসা নিতে বলেছি। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে সমাধান করা হবে। লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শামীম শেখ বলেন, সোমবার রাতে লিমা আক্তারের পক্ষে তার স্বামী অভিযোগ করেছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.